প্রার্থী নিয়ে দলের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ, পদ ছাড়লেন বিজেপির এস-সি, এস-টি মোর্চার সভাপতি
টিকিট না পেয়ে বিজেপির SC ST মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়লেন বাগদার বিদায়ী বিধায়ক দুলাল বর। বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। অভিযোগ তোলেন পরিবারতন্ত্র ও টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রির। সংবাদমাধ্যমকে দুলালবাবু জানিয়েছেন, যে কোনও মুহূর্তে দলত্যাগ করতে পারেন তিনি। তাঁকে কলকাতায় ডেকে পাঠিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব।
দ্বিতীয় প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পর থেকেই বিজেপিতে বিক্ষোভ চরম আকার নিয়েছে। টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়েছেন বহু নেতা কর্মী। জেলায় জেলায় দলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন বিজেপি কর্মীরাই। টিকিট না পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সাক্ষাৎপ্রার্থী হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়। এবার দলত্যাগের পথে দুলাল বর।
মঙ্গলবার ১৩ জনের নাম সহ প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে বিজেপি (BJP) তাতে দেখা যায় বাগদায় বিশ্বজিৎ দাসকে প্রার্থী করেছে দল। তিনি বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক ছিলেন। বাগদা কেন্দ্রের বিধায়ক দুলালবাবুকে টিকিট দেয়নি দল। ওদিকে গাইঘাটা কেন্দ্রে শান্তনু ঠাকুরের দাদা সুব্রত ঠাকুরকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।
এর পরই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দুলালবাবু (Dulal Bar)। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে দুলালবাবু বলেন, ‘আমি টিকিট পাইনি সেটা বড় কথা নয়। SC ST মোর্চার কোনও পদাধিকারীকেই টিকিট দেয়নি দল। আমাদের অপমান করা হয়েছে। তাই আমি দলের পদ ছেড়েছি। ধীরে ধীরে দলত্যাগের দিকে এগোবো।’
বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করেন দুলালবাবুর অনুগামীরা। আলাদা মঞ্চ গড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে বাগদা থেকে জিতেছিলেন দুলাল বাবু। তার পর তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। এর পর মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যান তিনি। তবে স্থানীয় সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কোনও কালেই ভাল নয়।