খাসতালুক বিক্ষোভের মুখে শিশির, বিড়ম্বনায় বিজেপি
গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর ভোটপ্রচারে নেমেই নিজের খাসতালুকে বিড়ম্বনার শিকার হলেন শিশির অধিকারী। পদ্মসংসারে তাঁর বিচরণ যে মসৃণ হবে না, সেটা গোড়াতেই টের পেলেন ৮০ বছরের ওই প্রবীণ নেতা। নতুন দলে নাম তোলার পর সোমবার সন্ধ্যায় কাঁথি উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত বাথুয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন কাঁথির সংসদ সদস্য। সেখানেই নাতির বয়সি ছেলেদের কাছে চূড়ান্ত অপমানিত হন। ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এগরা থানার পুলিসের পাশাপাশি আধা সামরিক বাহিনী নামাতে হয়। ওই ঘটনার পর রাতে বিজেপির লোকজন বাথুয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁথগঞ্জে তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলা চালায়।
গত ২১মার্চ এগরার বালিঘাইয়ে অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপির সভায় হাজির হন শিশিরবাবু। তারপর কাঁথি উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুমিতা সিনহার সমর্থনে এগরা-২ব্লকের অন্তর্গত বাথুয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁথগঞ্জে একটি সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। মেরেকেটে ৫০জন লোক ছিলেন ওই সভায়। সভা থেকে খানিকটা দূরে পটাশপুর বিধানসভার অন্তর্গত উত্তর চৌমুখ গ্রামে বক্স বাজিয়ে তৃণমূলের লোকজন নাচানাচি করছিলেন। সেখানে নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ককে চোর স্লোগান দিয়ে তৈরি একটি গান বাজানো হচ্ছিল। বক্সে বেজে চলা সেই স্লোগানের সুরে নাচানাচি করছিলেন স্থানীয় তৃণমূলের কিছু লোকজন। মঞ্চে বসে থাকা শিশিরবাবুর কানে ওই স্লোগান পৌঁছতেই তিনি মঞ্চ থেকে নেমে সোজা উত্তর চৌমুখ গ্রামে যান। সেখানে ওই স্লোগান বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ ঘিরেই উপস্থিত বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিস এবং আধা সেনা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এব্যাপারে শিশিরবাবু বলেন, আমি আগে অনেকবার এধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। যারা এসব করেছে, তাদের নাম এবং ছবি সংগ্রহ করে রেখেছি। বাথুয়াড়ি অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মৃগাঙ্কশেখর গিরি বলেন, শিশিরবাবু বাথুয়াড়ি পঞ্চায়েত এলাকায় উত্তর কাঁথির বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন। তখন লাগোয়া পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত একটি জায়গায় বক্সে স্লোগান চলছিল। তানিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। আমাদের কর্মী এর সঙ্গে যুক্ত নয়। তা সত্ত্বেও আমাদের কাঁথগঞ্জে দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর হয়েছে।