প্রার্থীর সাথে টোটোয় প্রচারে মহুয়া
বুধবার সকালে কালীগঞ্জে(Kaliganj) তৃণমূল(TMC) প্রার্থী নাসিরউদ্দিন আহমেদ(Naseeruddin Ahmad) ওরফে লালের প্রচারে ঝড় তুললেন জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্র(Mahua Moitra)। এদিন জুরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বড় ইটনা মোড় থেকে টোটোয় প্রচার শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটি বুথ প্রদক্ষিণ করে প্রচারপর্ব শেষ হয়। প্রচারের শুরু থেকেই কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়।
এদিন সকাল ১০টা থেকে প্রচার শুরু হওয়ার কথা ছিল। সকাল ৯টা থেকে এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাও প্রস্তুতি শুরু করেন। চার-পাঁচটি টোটোয় তৃণমূলের পতাকা, নীল সাদা বেলুন লাগানোর ব্যবস্থা শুরু করেন। একইসঙ্গে বড় ইটনা মোড়ে চারটি সাউন্ড বক্সে ‘খেলা হবে’ গান শুরু হয়। সাড়ে ৯টা নাগাদ গাড়ি থেকে নামেন তৃণমূল প্রার্থী নাসিরউদ্দিন সাহেব। তাঁকে দেখে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। গাড়ি থেকে নেমে প্রার্থী সোজা ঢুকে যান চায়ের দোকানে। কর্মী-সমর্থকরা সেখানে ভিড় করে কীভাবে মিছিল হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলে। এরমধ্যে চা খেয়ে নাসিরুদ্দিন সাহেব নিজেই বড় ইটনা মোড়ের দোকানে দোকানে প্রচার পর্ব শেষ শুরু করেন। প্রচার প্রস্তুতি শেষ হওয়ার মধ্যে ঘড়ির কাঁটা ধরে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে উপস্থিত হন জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্র। তাঁকে দেখেও ফের কর্মী-সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। শাসকদলের প্রার্থী, জেলা সভাপতি ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নাম নিয়ে লাগাতার স্লোগান চলতে থাকে। তারপরই প্রার্থী ও মহুয়া একই টোটোয় উঠে পড়েন। শুরু হয় প্রচার।
বড় ইটনা, নওদাপাড়া, রাজপাড়া, আদমপুর হয়ে টোটো বামুনপুকুরের দিকে যত এগিয়ে যায় ততই প্রচারের ঝাঁঝ বাড়তে থাকে। তীব্র গরমেও প্রার্থী, জেলা সভাপতি দু’জনেই সাধারণ মানুষ ও উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছাসে কখনও হাত নাড়েন কখনও আবার স্লোগানের সঙ্গে গলা মেলান। রাস্তার দুই পাশে থাকা সাধারণ মানুষের মধ্যেও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। যুবক-যুবতীরা মোবাইলে ছবি, ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করেন। এভাবে মিছিল এগতে থাকে। বামনপুকুর থেকে ছুটিপুর, নওদা, গঙ্গারামপুর, জুরানপুর, জয়রামপুর, কুটুরিয়া হয়ে হিজুলি প্রাথমিক স্কুলের কাছে প্রচার শেষ হয়। দলের এক কর্মী বলেন, আমাদের প্রার্থী ও জেলা সভাপতি একসঙ্গে ঘোরায় এলাকার ভোটারদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। আমরা নিশ্চিত, উন্নয়নে আস্থা রেখে মানুষ এবারও তৃণমূলকেই ভোট দেবে।
এদিনের প্রচার পর্বে কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া দেখে প্রার্থী নাসিরউদ্দিন বলেন, কালীগঞ্জ বিধানসভার মানুষ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে তৃতীয়বার নবান্নে ফেরাতে জোড়াফুল প্রতীকে ভোট দেবেন তা স্পষ্ট। যদিও এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ ঘোষ বলেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কালীগঞ্জ বিধানসভায় বহু সংখ্যালঘু মানুষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।