দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

বিজেপি মানে ভারতের জঘন্য পার্টি: মেদিনীপুরে মমতা

March 25, 2021 | 3 min read

একুশের নির্বাচনে প্রচারের ঝড় তুলেছেন মমতা। ভাঙা পায়ে কলকাতায় পদযাত্রা দিয়ে শুরু হয় তাঁর নির্বাচনী কর্মসূচি। এরপর ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় তাঁর জনসভায় দেখা যায় জনপ্লাবন। আজ দুই জেলায় মমতার চারটি জনসভা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রচার সেরে মমতা যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুরে।

প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন আজ। তার আগেই মানুষের দরবারে পৌঁছে যাচ্ছেন মমতা। বার্তা একটাই – ভাঙা পায়েই খেলা হবে। আজ মমতার জনসভা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা এবং সাগরে, আর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন এবং মেদিনীপুরে।

লাইভ আপডেট

২:৪৪: মা-বোনেরা বেঁধে জোট, জোড়া ফুলে সব ভোট। ছাত্র-যুব বেঁধে জোট, জোড়া ফুলে সব ভোট। কৃষক-শ্রমিক বেঁধে জোট, জোড়া ফুলে সব ভোট। চাইনা চাইনা, বিজেপিকে চাই না। আরনা আর না, এই বিজেপিকে আর না। বিদায় দাও বিদায় দাও, বিজেপিকে বিদায় দাও।

২:৪৩: খেলা হবে। জেতা হবে। কন্যাশ্রী চলবে। বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা চলবে। কর্মসংস্থান হবে। উন্নয়ন চলবে।

২:৪২: সিপিএমের হার্মাদ বিজেপির ওস্তাদ। আমাদের কিছু গদ্দার ছিল। মীরজাফর গুলো দল ছেড়ে গেছে। ওরা এখন বিজেপির ওস্তাদ। ডাকাত চিরকাল ডাকাত‌ই হয়। মীরজাফর চিরকাল মীরজাফরই হয়। গাদ্দারদের কেউ বিশ্বাস করে না।

২:৪১: খড়গপুরের রেল বিক্রি করা চলবে না। ব্যাংক, বীমা, SAIL, HPCL, বিক্রি করা চলবে না। বলে কিনা সপ্তম বেতন কমিশন করবে। মিথ্যাবাদীর দল। ত্রিপুরায় পেনশন বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারি চাকরি বেসরকারি করে দিয়েছে।

২:৪০: কৃষকদের জমি লুঠ করে নিয়েছে। তারা আন্দোলন করছে। দাঙ্গাবাজ, ধান্দাবাজ, স্বৈরাচারী, দুরাচারী এইরকম জঘন্য রাজনৈতিক দল দেখতে পাবেন না। বিজেপি হলো ভারতের জঘন্য পার্টি। সবাইকে বলে চোর আর নিজেরা সাধু?

২:৩৮: ভয় দেখালে মা-বোনেরা হাতা-খুন্তি নিয়ে চলে আসবেন। টাকা দিতে এলে জিজ্ঞেস করবেন, ১৫ লক্ষ টাকা কোথায় গেল? টাকা দিলে বলবেন এটা আমাদের টাকা আমরা ইচ্ছামত খরচ করব। আর বিজেপিকে ভোটটা দেবেন না।

২:৩৭: EVM মেশিন সম্পর্কে আমার সন্দেহ আছে। কাউকে বিশ্বাস করবেন না। এজেন্টরা দুবার অন অফ করে দেখে নেবেন। মেশিন খারাপ হয়ে গেলে চলে যাবেন না। নতুন মেশিন এলে পরীক্ষা করে তারপর ভোট দিয়ে দেবেন। VVPAT মিলিয়ে নেবেন। ভোট শেষ হয়ে গেলে ভোটবক্স পাহারা দিতে হবে একমাস। পালিয়ে গেলে চলবেনা। এটা যুদ্ধ।

২:৩৪: এটাতো দিল্লি সরকার নয়। নোট বন্দির সরকার নয়। আইন পাস করে দিল্লির সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নিল। এরকম স্বেচ্ছাচারী সরকার! চাইলে আমাকে মেরে ফেলতে পারো। যতক্ষন আমার শ্বাস চলবে, বহিরাগত গুন্ডাদের সাথে কোনো সমঝোতা করবো না।

২:৩২: আমরা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে দিয়েছি আপনারা নার্সিংহোমে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা করতে পারবেন। এই কার্ডটা মা-বোনেদের নামে হবে। তিন বছর অন্তর রিনিউ হবে। ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত আমরা বিদ্যুৎ ফ্রি করে দিয়েছি।

২:৩১: আমরা প্রতি বছর ৫ লক্ষ ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান করে দেব। ক্ষুদ্র শিল্পে বিনিয়োগ হবে, লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। বাইরে যারা কাজ করে তাদের চলে আসতে বলুন। ভোট না দিলে তাদের নাম কেটে দেবে বিজেপি। জেলা জুড়ে জরি শিল্প, সোনা শিল্পের ক্লাস্টার তৈরি হচ্ছে। অনেক চাকরি হবে।

২:২৯: আমরা বিনা পয়সায় রেশন দিই। আগামীদিনে আমাদের সরকার আসলে আমরা দুয়ারে দুয়ারে বিনামূল্যে খাদ্য পৌঁছে দেব। বাড়ির মা বোনেরা অনেক কাজ করেন। কিন্তু তাদের নিজেদের হাত খরচের টাকা থাকেনা। তাই সংসারের কর্ত্রীকে আমরা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা হাতখরচ দেবো। (তপশিলিদের ১০০০ টাকা)

২:২৭: আমি নাকি শুধু নির্বাচনের জন্য দুয়ারে সরকার করছি। মা বোনেরা আপনারা জানেন আমি জেলায় জেলায় ৫০০-র উপর প্রশাসনিক বৈঠক করে কাজের খতিয়ান নিয়েছি। আমরা এখন থেকে বছরে চার মাস দুয়ারের সরকার করব। যা পরিষেবার লাগবে, দরখাস্ত করে দেবেন। কাউকে ধরতে হবে না।

২:২৬: সব উদ্বাস্তু কলোনিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। পাট্টা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছুটা বাকি আছে, সেটাও করে দেওয়া হবে।

২:২৫: স্বাধীনতার পর থেকে ২০১১ অব্দি মাত্র ২৫ হাজার কিমি রাস্তা ছিল বাংলায়। আমরা এই দশ বছরে ৯৫ হাজার কিমি রাস্তা করেছি। আরো ৪৬ হাজার কিমি রাস্তা করে দে‌ওয়া হবে। চকচক করছে রাস্তা।

২:২৪: একটা বাচ্চা জন্মালে আমরা সবুজশ্রী গাছ দিই। ছাত্র-ছাত্রীদের আমরা ট্যাব দিচ্ছি। ১০ লক্ষ্য কোটি টাকার ক্রেডিট কার্ড ও দেওয়া হবে। কৃষকদের খাজনা মকুব করে দিয়েছি। কৃষক বন্ধু তে একরপ্রতি ৬ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হবে। শস্য বীমার টাকা ও ১০০ শতাংশ আমরা দিচ্ছি।

২:২৩: আম্পানে যাদের ক্ষতি হয়েছিল, কেন্দ্র কোন টাকা দেয়নি। কোভিডের সময়ও কেন্দ্র এক পয়সা দেয় নি। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি সারিয়েছি, ক্ষতিগ্রস্ত চাষের জমি ঠিক করেছি। যদি কারো কোন সমস্যা থাকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে পরিষেবা পাবেন।

২:২২: এই এলাকা বন্যাপ্রবন। ৬৫০ কোটি দিয়ে আমরা কেলেঘাই কপালেশ্বরী সংস্কার করেছি। আমরা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছি। এত বছর হয়ে গেল ওরা সম্মতি দেয় নি। ২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প আমাদেরই করতে হবে। বিজেপির হোঁদল কুতকুত বাবু শুধু এসে ভোট পেয়ে যাবেন।

২:২০: আমরা জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছি। একসময় যারা মাওবাদী আন্দোলন করতেন তাদের অনেককেই আমরা সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে এনে চাকরি দিয়েছি। এখানে তিন জেলায় তিনটে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। আরও বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Trinamool Congress, #Mamata Banerjee, #midnapore

আরো দেখুন