এপ্রিল থেকে দৈনিক ১০ হাজার টিকার টার্গেট কলকাতা পুরসভার
এপ্রিলের(April) প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিদিনের টিকাকরণ(Vaccination) ১০ হাজারের ঘরে নিয়ে যাওয়ার টার্গেট নিয়েছে কলকাতা পুরসভা(KMC)। সেইসঙ্গে ফের সংক্রমণের দাপট থামাতে টেস্ট এবং টিকাকরণ দু’টিতেই জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে পুরসভার নজর এবার শহরের বৃদ্ধাবাসে(Old Age Home)। যতটা সম্ভব বয়স্ক লোকদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করা এবং সেইসঙ্গে যাঁদের টিকাকরণ হয়নি, তাঁদের টেস্ট করা, সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ।
পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবন সহ সারা শহরের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র(Health Centre) মিলিয়ে ৬৯টি টিকাকরণ কেন্দ্র চলছে। রোজ গড়ে ৭০০০ মানুষ টিকা নিচ্ছেন। গত হপ্তাখানেক আগেও সংখ্যাটি ছিল ৫০০০। কিন্তু এবার তা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো গিয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, যার জন্য ১ এপ্রিল থেকে নতুন করে আরও ১১টি টিকাকরণ কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। সেন্টার পিছু রোজকার টার্গেট ১২৫-১৩০ জনের টিকাকরণ।
কলকাতায় টিকাকরণের হার যথেষ্ট ভালো বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। ১৬ জানুয়ারি থেকে টিকাকরণ শুরু হয় কলকাতায়। কিন্তু প্রথমদিকে আশানুরূপ সাফল্য আসেনি। সেইসঙ্গে ছিল কো-উইন সার্ভারের সমস্যা। অনেক মানুষের মধ্যে টিকা নিয়ে ভয়ও ছিল। প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণ শুরু হয়। তারপর ধাপে ধাপে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা এবং ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও ৪৫-৫৯ বছর বয়সি কো-মর্বিড নাগরিকের শর্তসাপেক্ষে টিকাকরণ শুরু হয়। প্রচারের মাধ্যমে আড়াই মাসে দিনে টিকাকরণ সাত হাজারের ঘরে পৌঁছেছে। এবার ১০ হাজার ছোঁয়ার পালা।
স্বাস্থ্যবিভাগের এক আধিকারিক বলেন, আমরা টিকাকরণ অনেকটাই বাড়াতে পেরেছি। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে এপ্রিলের শেষে টিকাকরণ রোজ গড়ে ২০ হাজারের সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে। বর্তমানে ৪৫-৫৯ বছর পর্যন্ত টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কো-মর্বিডিটির প্রমাণ হিসেবে ডাক্তারি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, ১ এপ্রিল থেকে তার আর দরকার হবে না। ফলে, যাঁরা বাধ্যবাধকতার জায়গা থেকে সেন্টারে টিকা নিতে আসছিলেন না, তাঁরা এবার অনায়াসেই আসবেন ধরে নেওয়া যেতে পারে। ফলে টিকা নেওয়ার হার আরও বাড়বে। পাশাপাশি, শহরের বয়স্কদের ওপর বিশেষ নজর দিতে চাইছে পুরসভা। বিভিন্ন বৃদ্ধাবাসের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুরসভার উদ্যোগে সাড়া দিয়েছে শহরের দু’টি বৃদ্ধাবাস। ইলিয়ট রোডের একটি বৃদ্ধাবাসের ২৫০-৩০০ জন আবাসিকের আরটিপিসিআর টেস্ট করানো হবে। ওইসঙ্গে বরো-৭ এলাকার বেশ কয়েকটি বৃদ্ধাবাস থেকে ইতিমধ্যেই টিকা নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। পুরসভার লোক পাঠিয়ে তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করছে।