চোরকে বলে চুরি করতে আর গৃহস্থকে বলে সজাগ থাকতে, খড়্গপুর থেকে মোদিকে তোপ মমতার
রাজ্যজুড়ে চলছে প্রথম দফার নির্বাচন। জেলায় জেলায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে চলছে দ্বিতীয় দফার প্রচার। বাকি আর কয়েকটা দিন। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় প্রচারের ঝড় তুলেছেন মমতা। ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তাঁর জনসভায় দেখা যায় জনপ্লাবন।
আজ পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া জেলায় মমতার জনসভা। বেলদা, পিংলা, খড়্গপুর সদর এবং মধ্য হাওড়া বিধানসভায়। একটা বার্তা নিয়েই মানুষের দরবারে পৌঁছে যাচ্ছেন মমতা – ভাঙা পায়েই খেলা হবে।
লাইভ আপডেট
২:৪৩: সবাইকে বলব সম্প্রীতির, শান্তির দোল খেলুন। বিজেপিকে সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেবেন না। পরশু শান্তিপূর্ণভাবে দোল খেলুন। কাউকে বিব্রত করবেন না। আর তারপরেই তৃণমূল জিতবে, সবুজ হোলি খেলা হবে।
২:৪০: বিজেপি ভেবেছিল লোকসভায় ওরা জঙ্গলমহলে জিতেছিল বলে সব সিট ওরাই পাবে। কিন্তু যেদিন রেজাল্ট বেরোবে, দেখবেন সব জোড়া ফুল।
২:৩৭: প্রদীপকে ভোট দেয়া মানে আমাকে ভোট দেওয়া। আগামীদিনে দ্বিগুণ শিক্ষক নিয়োগ হবে। পহেলা এপ্রিল বিজেপিকে এপ্রিল ফুল বানিয়ে এমন খেলা খেলবেন যে বিজেপিকে মাঠের বাইরে বের করে দেবেন। মা-বোনেরা, যদি কেউ গুন্ডামি করতে আসে তাহলে হাতা খুন্তি নিয়ে তেড়ে যাবেন।
২:৩৫: আগামীদিনে অনেক উন্নয়ন হবে। ভরসা আছে তো? খেলা হবে। যারা বাংলায় থাকে তারা বহিরাগত নয়। যারা বাইরে থেকে নির্বাচনের সময় আসে গুন্ডামি করতে তাদের আমরা গুন্ডা বলি। আমাদের কাজ আমরা করব। আপনাদের কাজ আপনারা করবেন।
২:৩৪: এখানে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করা হয়েছে। খড়গপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হয়েছে। অনেক ছেলে মেয়েদের চাকরি হবে। বছরে পাঁচ লক্ষ কর্মসংস্থান করা হবে। তাজপুর বন্দর হয়ে গেলে অনেক অনুসারী শিল্প তৈরি হবে। খড়গপুর আগামী পাঁচ বছরে আরো অনেক এগিয়ে যাবে। প্রকৃত শিল্পনগরী হিসেবে উঠে আসবে।
২:৩০: আমরা বিনা পয়সায় রেশন দিই। আগামীদিনে বিনা পয়সায় দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেব। মা-বোনেদের মাসে হাত খরচের জন্য ৫০০ টাকা (তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের হাজার টাকা) দেওয়া হবে। কৃষকদের ভাতা ৬ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হবে। পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্রেডিট কার্ড করে দেয়া হবে। আমরা দশ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী বানিয়ে তাদের ২৫ হাজার কোটি টাকা লোন দেব।
২:২৯: প্রদীপ আমায় বলেছিল, এখানে ৩০% তেলেগু ভাষী ভাই বোন আছে। তাদের ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। আমি করে দিয়েছি। আমি হিন্দি, উর্দু ,নেপালি, গুরুমুখী, কুমরী, কমতাপুরী, রাজবংশী, অলচিকি সব ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি।
২:২৮: মা-বোনেরা, কোন দিন ব্যাংক বন্ধ করে দেবে, আপনার টাকা পাবেন না। সকলের কত বীমা করা আছে। বিক্রি করে টাকা খেয়ে নেবে। তারপর বলবে ভোট দাও। কিসের ভোট? আজ দেশের কি অবস্থা! শিল্পপতিরা ভয় বসে আছে। কৃষকরা ধর্ণা দিচ্ছে। শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। বেকারত্ব বাড়ছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার বাড়ছে।
২:২৭: নিজেরাই বলে মমতা নাকি বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করিয়ে ভোট দেয়। আর নিজেই বাংলাদেশ গিয়ে মার্কেটিং করছে। কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যে? উত্তরপ্রদেশ থেকে পুলিশ পাঠিয়েছে, তারা আমাদের প্রার্থীকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। সাংবাদিককে মেরেছে। অমিত সাহা নিজেকে কি মনে করেন? আপনি বাংলার আইন-শৃঙ্খলা কন্ট্রোল করতে পারেন না।
২:২৬: আমরা নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানাবো। বিদেশের মাটিতে দেশের রাজনীতি নিয়ে কিভাবে উনি কথা বলতে পারেন? চোরকে বলে চুরি করতে আর গৃহস্থকে বলে সজাগ থাকতে? চোরের মায়ের বড় গলা!
২:২৪: বাংলায় নির্বাচন চলছে আর উনি বাংলাদেশে গিয়ে বাংলা কে নিয়ে ভাষণ দিচ্ছে। এটা বিধি ভঙ্গ নয়? আইন সবার জন্য সমান। ২০১৯ এর নির্বাচনের সময়ে একজন বাংলাদেশী অভিনেতা তৃণমূলের মিছিল গিয়েছিল বলে তার ভিসা বাতিল করে দিল। আর আজ প্রধানমন্ত্রীর ভোটের জন্য বিদেশে গিয়ে ভাষণ দিচ্ছেন, তাহলে কেন ব্যবস্থা হবে না? উনি ট্রাম্পের সমর্থনেও মিটিং করেছেন।
২:২২: এয়ার ইন্ডিয়া বেচে দিয়েছে। কোল ইন্ডিয়া বেছে দিচ্ছে। ব্যাংক, বীমা বন্ধ করে দিচ্ছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও বিক্রি করে দিচ্ছে। আর নির্বাচনের সময় টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চায়। ওদের জিজ্ঞেস করুন সব বিক্রি করে দেবেন, টাকা কোথায় গেল? সব দেশের দিয়ে নিজের নামে স্টেডিয়াম বানায়।
২:২১: কালকের রাত্রিবেলায় ৩০ জন গুন্ডাকে মা-বোনেরা ধরিয়ে দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে ভোট লুঠ করতে এসেছিল। মা-বোনেরা ধরিয়ে দিয়েছে। এখানেও গুন্ডামি করবে। কিন্তু ওদের আমরা ভয় পাই না। আমি সকলকে অনুরোধ করবো রেল কে বাঁচাতে তৃণমূলকে ভোট দিন। আমরা লড়বো আপনাদের জন্য। আমি রিল সম্পর্কে যা জানি, কেউ জানে না। এখনকার রেলমন্ত্রী কিছু জানেনা। শুধু ভাড়া বাড়ায়, আর আমাদের গালি দেয়।
২:২০: রাজ্য সরকারের জমিতে যত উদ্বাস্তু কলোনি আছে আমি সবাইকে স্বীকৃতি দিয়েছি। পাট্টা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের যে জমিতে কলোনি আছে, সেটা নিয়ে আমরা আইন পাশ করেছি যে তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না। উচ্ছেদ করতে আমাদের প্রশাসন কোনও সাহায্য করবে না। আমাদের সরকার থাকলে আপনারা নিশ্চিন্তে থাকবেন।
২:১৯: খড়্গপুরে অনেক উন্নয়ন আমরা করেছি। রেলের করা উচিত ছিল কিন্তু করেনি। ওরা ভয় দেখায় তৃণমূলের মিটিং-এ গেলে ট্রন্সফার করে দেব। রেলের জমি থেকে নাকি উচ্ছেদ করে দেবে। মমতা ব্যানার্জি কাউকে করতে দেবে না। শিলিগুড়ি বাঁকুড়াতে ও করতে চেয়েছিল, আমি করতে দিইনি।
২:১৬: এখানে বিজেপির সংসদ আছে। রেলের কর্মীদের ভয় দেখায় যে ট্রান্সফার করে দেবো। আমিও এক সময় রেলমন্ত্রী ছিলাম। আমি রেল চিনি। ওরা সব বিক্রি করে দিচ্ছে। খড়গপুর হল রেল-নগরী। রেলগেট বেঁচে দিলে আপনাদের চাকরি থাকবে না। তখন খাবেন কি? রেলমন্ত্রীর ধমকানি চমকানি খাবেন?
২:১৫: এই গরমের মধ্যেও মা-বোনেরা এসেছেন। আমি আপনাদের আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও প্রণাম সেলাম জানাই। আপনারা আমাদের প্রার্থীকে উপ-নির্বাচনে জয়ী করেছেন। ও খুব খেটে খাওয়া কর্মী, মানুষের কাছে সব সময় থাকে।