দোল উপলক্ষে দুর্দান্ত মেনু নিয়ে হাজির পঞ্চায়েত দপ্তর
করোনার প্রভাব ফের বাড়ছে। দোল উৎসব নিয়ে মনখারাপ সবার। হয়তো রংও খেলবেন না অনেকেই। তা বলে রসনায় রাশ টানার কোনও মানে হয় না। বরং মন ভালো করতে বাড়িতেই হোক ভুরিভোজের আয়োজন। ‘মেড ইজি’ নিয়ে আপনার দুয়ারে হাজির পঞ্চায়েত দপ্তর। আগামী শনি ও রবিবার কলকাতা ও লাগোয়া শহরতলিতে অর্ডার দিলেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে মনের মতো খাবারদাবার। হরেক পদ নিয়ে লাঞ্চ, রঙিন মঠ-কদমা, ফুটকড়াই কিংবা আবির। বসন্তোৎসব সেলিব্রেশনের জমজমাট প্যাকেজ!
ভুরিভোজ সরবরাহের প্রস্তুতি প্রায় সারা। কয়েক হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীন ওয়েস্ট বেঙ্গল কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। কৃষিজ ফসল থেকে শুরু করে হাতে গড়া নানা খাদ্যপণ্যের বাজার ধরতে মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে এই সংস্থা। কাঁচা খাবারের পাশাপাশি সম্প্রতি তারা রান্না করা খাবারও বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে। উৎসব-পার্বনে ওজনদার হয় সেই মেনু।
দোলপূর্ণিমা (Dol Yatra) উপলক্ষে কী থাকছে এবারের মেনু কার্ডে? সংস্থার অধিকর্তা সৌম্যজিৎ দাস বলেন, দোলের দিন সাধারণ মানুষ যে ধরনের খাবার পছন্দ করেন, তেমনই রাখা হচ্ছে। যেমন, সাদা ভাত, একটা পাঁচমেশালি তরকারি আর দেশি মুরগি অর্থাৎ বনরাজার ঝোল। সঙ্গে বর্ধমানের মিষ্টি দই। যাঁরা কোলস্টেরল বা হার্টের সমস্যার কারণে মাটন খেতে পারেন না আবার ব্রয়লার চিকেনের একঘেয়েমিও কাটাতে চান, তাঁদের আশা করি আমাদের মেনু ভালো লাগবে। প্রচুর পদের ভিড় নেই। বরং এমন মেনু করা হয়েছে, যা ছিমছাম আবার লোভনীয়ও বটে।
কর্পোরেশনের বিপণন বিভাগের প্রধান স্বাগতা রায় বলেন, ‘খাবার ছাড়াও আমরা আলাদা করে একটি প্যাকেট তৈরি করেছি বসন্তোৎসব উপলক্ষে। সেই প্যাকেটে থাকবে সম্পূর্ণ ভেষজ আবির, যা ত্বকের কোনও ক্ষতি করে না। সঙ্গে মঠ, কদমা বা ফুটকড়াই দেওয়া হবে। তাও একেবারে নির্ভয়ে খেতে পারেন সাধারণ মানুষ। এমনকী, ডায়াবেটিক রোগীরাও। কারণ, স্টেভিয়া গাছ থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে এগুলিতে মিষ্টি স্বাদ আনা হয়েছে। যেহেতু চিনি নেই, তাই এটি নিরাপদ। সেই সঙ্গে প্যাকেটে থাকবে একটি শুভেচ্ছা-কার্ডও।
এই প্যাকেজগুলিতে খরচ কত? দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, শনি ও রবিবার দু’দিনের জন্য যে মিল তৈরি হয়েছে, তার দাম প্লেট পিছু ২৭৫ টাকা। আবির ও মঠ-ফুটকড়াইয়ের প্যাকেটে পড়বে ১০০ টাকা। সল্টলেক বা নিউটাউন এলাকায় যদি ১৫০ টাকার খাবার অর্ডার আসে, তাহলে হোম ডেলিভারিতে আলাদা কোনও খরচ লাগবে না। উত্তর কলকাতা, অর্থাৎ দমদম-ডানলপ পর্যন্ত বিনামূল্যে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩৫০ টাকার অর্ডার করতে হবে। দক্ষিণ কলকাতায় গড়িয়া পর্যন্ত ফ্রি ডেলিভারি দেওয়া হবে। তবে অন্তত ৫০০ টাকার অর্ডার দিতেই হবে। কর্পোরেশনের কর্তারা এও বলছেন, সবাইকে যে খাবার বা আবিরের প্যাকেট অর্ডার দিতে হবে, এমন কোনও ব্যাপার নেই। চাইলে কাঁচা আনাজ বা মশলাপাতি বা মুদিখানার অর্ডারও দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অঙ্কের বেশি জিনিস কিনলেই বিনামূল্যে হোম ডেলিভারির সুবিধা পাবেন ক্রেতারা। ৯১৬৩১২৩৫৫৬ নম্বরে হোয়াটস অ্যাপ করে খাবার বা অন্যান্য পণ্য অর্ডার দেওয়া যাবে।