নন্দীগ্রাম নিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কটাক্ষ করলেন সৌগত রায়
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacherjee) আজ দুপুরে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি অডিও বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর নিন্দেই বেশি করেছেন। এবার সেই নিয়ে বুদ্ধবাবুকে পাল্টা কটাক্ষ করে সৌগত রায় বললেন, ওঁর বয়স হয়েছে। উনি বাড়িতে একটি ঘরে বন্দী। গত ১০ বছর ধরে ওঁর সঙ্গে বাংলার মানুষের কোনও যোগাযোগ নেই। পার্টির কমরেডরা যা বলেন, সেটাই শোনেন। বুদ্ধবাবু কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজ সাথীর কথা শোনেননি। আমরা কীভাবে ভুলে যাব নাট্যকার বুদ্ধ ভট্টাচার্যের পেছনে আরও একজন বুদ্ধদেব ভাট্টাচার্য ছিলেন। ওই বুদ্ধবাবুর নেতৃত্বেই নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রেয়াপাড়ায় তৃণমূল(TMC) নেত্রী বলেন, “নন্দীগ্রামে যাঁরা গুলি চালিয়েছিল, তাঁদের মনে আছে? সেদিন পুলিশের ড্রেস পরে যাঁরা এখানে এসেছিল, তাঁদের মনে আছে? হাওয়াই চটি পড়ে এসেছিল বলে ধরা পড়ে গিয়েছিল। এবারও সেসব কেলেঙ্কারি করছে। যারা এসব করে, তাঁরা জানে। এই বাপ-বেটার পারমিশন ছাড়া সেদিন নন্দীগ্রামে পুলিশ ঢুকতে পারত না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি।” এই নিয়েই সৌগত রায়(Saugata Roy) বলেন, নাট্যকার বুদ্ধবাবুর পেছনে যে বুদ্ধবাবু ছিলেন তাঁর নেতৃত্বেই নেতাই-নন্দীগ্রামে গুলি চলেছিল। অধিকারী পরিবার এজেন্টের কাজ করেছিল। কিন্তু রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেবই।
অন্যদিকে, অমিত শাহকেও এদিন নিশানায় নেন সৌগত রায়। বলেন, অমিত শাহ বাংলায় বারবার আসছেন, এত হম্বিতম্বি করছেন। কিন্তু এতে বাংলার মাটিতে এতটুকুও ভূকম্পন হবে না। ওরা দিনরাত নন্দীগ্রামের ঘটনার কথা বলছেন। কিন্তু হাথরসের কথা ভুলে যাচ্ছেন? অধিকারী পরিবারকে আমরা সহ্য করেছিলাম। দলে থাকলে এমন জিনিস মেনে নিতে হয়। কিন্তু ওরা চলে যাওয়ার পর আর সেগুলোকে চেপে রাখার কোনও মানেই হয় না। যতই ওঁদেরকে তুলে ধরে মমতাকে দমনের চেষ্টা হোক না কেন, বাংলার মানুষ সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেবে। ২মে আমরাই জিতব।