অতি উত্তম! এবার সৃজিতের শ্রদ্ধার্ঘ্য ‘মহানায়ক’ কে
উত্তমকুমার(Uttam Kumar) ও সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherjee) মধ্যে যোগসূত্রটি বাংলা ছবির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। পরিচালকের প্রথম ছবি ‘অটোগ্রাফ’কে মহানায়কের প্রতি ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ হিসেবেই বারবার উল্লেখ করেন সৃজিত। এবারে উত্তমকুমারকে কেন্দ্র করেই একটি নতুন ছবির শ্যুটিং সেরে ফেলেছেন তিনি। ছবির নাম ‘অতি উত্তম’। ফলে এই ছবি যে মহানায়কের জীবনকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু সেখানেও রয়েছে সৃজিতসুলভ চমক। এই চরিত্রে কোনও অভিনেতাকে তিনি কাস্ট করেননি।
উত্তমকুমার অভিনীত প্রায় চুয়ান্নটি সিনেমার ফুটেজ ব্যবহার করে এবং কম্পিউটার গ্রাফিক্সের সাহায্য নিয়ে এই চরিত্রটিকে তৈরির চেষ্টা করেছেন পরিচালক।
উত্তমকুমারকে ঘিরে ছবি ঠিকই, তবে সৃজিত এই ছবিকে মহানায়কের বায়োপিক বলতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘এই ছবিটা কোনওভাবেই ওঁর বায়োপিক নয়। তিনি এখানে একজন চরিত্র হিসেবে আসছেন মাত্র।’ একজন উত্তম ভক্ত মানুষ ব্যক্তিগত জীবনে প্রেম ঘটিত সমস্যায় পড়ছেন। আর সেই সমস্যা থেকে মুক্তির পথ হিসেবে তিনি স্মরণ করছেন উত্তমকুমারকে। মূলত এই সূত্র ধরেই এগবে ছবির গল্প। কিন্তু উত্তমকুমারকে কেন্দ্র করে এরকম মৌলিক ভাবনার জন্ম হল কীভাবে। ‘বাংলা কেন, আমার তো মনে হয় ভারতীয় ছবিতে এর আগে এরকম কাজ হয়নি। আসলে অটোগ্রাফ দশ বছর পূর্ণ করল। অন্যদিকে উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর চল্লিশ বছর কেটে গিয়েছে। তাই আবার নতুন করে ইচ্ছে হল ওঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি। সেই ইচ্ছারই ফসল এই ছবি,’ বললেন সৃজিত। ফুটেজ ও সময়কালকে মাথায় রেখে ছবির চিত্রনাট্য লিখতে প্রায় তিন বছর সময় নিয়েছেন পরিচালক।
উত্তমকুমারের চরিত্রে কোনও অভিনেতাকে নির্বাচন করলেন না কেন? ভরসা করতে পারছিলেন না কি? মুচকি হেসে পরিচালকের উত্তর, ‘ঠিক তা নয়। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও যিশু সেনগুপ্ত তো এর আগে উত্তমকুমারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু এই ছবিতে আমি উত্তমকুমারকেই চেয়েছিলাম। তাই গ্রাফিক্স এবং ওঁর বিভিন্ন ফুটেজের উপর আমাকে ভরসা করতে হয়েছে।’ পরিচিতদের মধ্যে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, লাবণী সরকার। নতুন মুখের মধ্যে রয়েছেন অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, রশ্মি ভট্টাচার্য, জিনা তরফদার প্রমুখ। ছবির প্রযোজক ক্যামেলিয়া। সহপ্রযোজক হিসেবে রয়েছে ম্যাচ কাট এবং ছায়বাণী। সঙ্গীতের দায়িত্বে সপ্তক সানাই দাস। আবহসঙ্গীত প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ক্যামেরায় সৌমিক হালদার ও সম্পাদক প্রণয় দাশগুপ্ত। ছবির রিলিজ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।