দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

কৃষক বিরোধী বিজেপিকে একটাও ভোট নয়, সিঙ্গুরে আবেদন মমতার

March 31, 2021 | 4 min read

আগামীকাল দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে প্রচার পর্ব। এবার তৃতীয় দফার প্রচারে বেরিয়ে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গলমহল আর মেদিনীপুরের পর এবার গন্তব্য হাওড়া-হুগলী। আজ মমতার সভা হুগলীর গোঘাট এবং সিঙ্গুরে। হাওড়ার উলুবেড়িয়াতেও রয়েছে তৃণমূলনেত্রীর জনসভা।

লাইভ আপডেট

২:১৫: মমতাদি তো বিনা পয়সায় চাল দেয়। তোমরা বিনা পয়সায় গ্যাস দাও। টাকা দিয়ে ভোট দেবেন না। টাকা দিলে ওদের খাতায় খরচা করে দেবেন। কিন্তু ভোট ওদের দেবেন না।

২:১৪: EVM মেশিন চালু করার আগে ৩০ টা ভোট গুনে ভালো করে দেখে নিতে হবে। VVPAT মিলিয়ে নিতে হবে। কোন মেশিন খারাপ হয়ে গেলে ভোট না দিয়ে ফিরে যাবেন না। ভোট হওয়ার পর সিল না হওয়া অব্দি থাকতে হবে। ভোট বাক্স পাহারা দিতে হবে। কাউন্টিং এর দিন কারো দেওয়া কোন খাবার খাবেন না।

২:১০: বাংলাকে আমরা বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে দখল করতে দেব না। বাংলা আমাদের গর্ব।

২:০৮: খেলা হবে, মা-বোনেরা। দুই হাত জোড় করে বেচারাম মান্নার জন্য আশীর্বাদ চাইছি। ও খুব কাজের ছেলে। ওকে আশীর্বাদ করুন। যদি আমার সরকার চান, তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দেবেন। কোনও ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন।

২:০৫: আমরা দোল খেলি, দূর্গা পুজো করি, লক্ষ্মী পুজো করি, সরস্বতী পুজো করি। রোজাও করি, বড়দিনে কেকও কাটি। সবাই আমরা আনন্দ করি। ওরা কি? ওরা বলে হরে কৃষ্ণ হরি হরি, লোকের ঘরে চুরি করি। হরে কৃষ্ণ হরি হরি, মানুষের ধন ডাকাতি করি।

২:০৪: ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল। জিতবে কিন্তু তৃণমূল। দস্যুদের, দানবদের, ডাকাতদের ফুল না। চাইনা চাইনা, দস্যু দানব বিজেপি, তোমাকে আমরা চাইন।

২:০৩: আগামীদিন তৃণমূলকে জিততে হবে মানুষের স্বার্থে। দেখুন আমার পায়ে আঘাত করেছে। আমি বললাম, তাতে কি হয়েছে, আমি একটা পা-নিয়েই এই মা বোনেদের জন্য লড়ে যাব। যতদিন থাকবে ততদিন থাকে যেন আপনাদের বিশ্বাস। আপনারা একজন প্রার্থীকে জয়ী করলে, আমার সংখ্যা বাড়বে। তবেই তো আমি সরকার তৈরি করতে পারব।

২:০১: এখনো নন্দীগ্রামে বাইরের রাজ্য থেকে লোক বসে আছে। ছাপ্পা ভোট দেবে বলে। আমি নির্বাচন কমিশনকে বলবো এই ব্যাপার গুরুত্ব দিয়ে দেখতে। তোরা জিতবি যখন ভয় দেখাচ্ছিস কেন? সব প্রার্থী তো ধার করা। মাস্টারমশাইয়ের বয়স হয়েছে, কোথায় ঘরে বসিয়ে হাত পা টিপে দেবে, তা না মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। লকেট বেচারা একজন সাংসদ, তাকেও বিধানসভায় নামিয়ে দিয়েছে।

২:০০: কোটি কোটি টাকা নিয়ে বিজেপি নেতারা বসে আছে। নির্বাচন কমিশন কোনও চেকিং করছে না। ঘোড়া কেনাবেচা হচ্ছে। কোথায় পুলিশের নাকা চেকিং? ইউপি বিহারের গুন্ডা নিয়ে নির্বাচন হবে? মনে নেই বাইরে থেকে গুন্ডা ঢুকিয়ে দিয়েছিল সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে?

১:৫৮: কেন্দ্র তিনটি কালো বিল নিয়ে এসেছে। আপনার যত ফসল সব আদানি, মোদী, অমিত শাহ নিয়ে পালিয়ে যাবে। আপনার ফসল ফলাবার স্বাধীনতা থাকবে না। এরা সমস্ত কিরে নিয়ে আপনাকে ফাঁসির কাষ্ঠে দাঁড় করিয়ে দেবেন। কৃষক বিরোধী বিজেপিকে একটা ভোট ও দেবেন না।

১:৫৭: তারকেশ্বরে গ্রিন ইউনিভার্সিটি হচ্ছে। আরও মেডিকেল কলেজ তৈরি হবে। ব্লকে ব্লকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল হবে। বছরের ৫ লক্ষ ছেলেমেয়েদের সরকারি-আধা সরকারি চাকরি দেবো। দেড় কোটি চাকরি হবে ক্ষুদ্র শিল্পে। সারা দেশে বেকারত্ব বেড়ে গেছে, কিন্তু বাংলা বেকারত্ব কমেছে।

১:৫৬: কৃষক বন্ধুর টাকা ৬ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হবে। ছেলে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। তাদের আর বাবা-মায়ের উপর নির্ভর করতে হবে না। জমিনদার হবে সরকার। এছাড়াও দ্বাদশ শ্রেণীর ছেলে-মেয়েদের ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। তারা বিশ্বের সেরা হবে। গর্ব করতে পারবে, সম্মানের সাথে বাঁচতে পারবে।

১:৫৪: এবার থেকে আমরা ঠিক করেছি রেশন বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে। ১০ লক্ষ মহিলাদের নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করা হবে। তাদের ২৫ হাজার কোটি টাকার লোন দেওয়া হবে। মহিলাদের মাঝে হাত খরচের জন্য ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। (তপশিলিদের হাজার টাকা)।

১:৫৩: আমরা ইস্তাহারে বলেছিলাম ৫০ হাজার পুকুর কাটব। তিন লাখের ওপর পুকুর কেটেছি। কত মাছের চাষ হয়েছে। পরিবেশও ভালো হচ্ছে।

১:৫১: আমি কৃষকদের কৃষকরত্ন দিই ১৪ ই মার্চ। কৃষকদের খাজনা মুকুব হয়েছে শস্য বীমার প্রিমিয়াম কৃষকদের দিতে হয় না, যখন আলুর দামও কমে যায় আমি আপনাদের কাছ থেকে আলু কিনে নিয়ে সব বাজারে বাজারে পাঠাই। ICDS সেন্টারগুলোতে পাঠাই, মিড ডে মিলের জন্য পাঠাই।

১:৫০: মাস্টার মশাই আপনি বাড়িতে থেকে সম্মানে বাঁচুন। দীর্ঘজীবী হন। এই নির্বাচনে বেচাকে জেতার জন্য আশীর্বাদ করুন।

১:৪৮: আমি যখন সিঙ্গুর নিয়ে আন্দোলন করি, অনশন শুরু করি। ডানকুনিতে আমাদের গাড়িতে মধ্যরাতে আক্রমণ হয়েছিল। আমার অসম্মান হয়েছিল। তাই আমি ঠিক করেছিলাম, হয় জিতব নয় মরবো। তখন আমায় কেউ কেউ বলেছিল তুমি একটা ব্রত করো। আমি সিঙ্গুর আন্দোলন কে কেন্দ্র করে সন্তোষী মাতার ব্রত শুরু করি। আমি আন্দোলনের পর একটা সন্তোষী মাতার মন্দির তৈরি করেছি।

১:৪৭: সিঙ্গুরে বাড়িতে বাড়িতে নল বাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। ১৫০০ কোটি টাকা খরচা করে জমিকে কৃষিকাজের জন্য তৈরি করেছি। সিঙ্গুর আন্দোলন পাঠ্যপুস্তকেও রাখা হয়েছে।

১:৪৫: আমরা অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেবো বলেছিলাম, দিয়েছি। ১৬ কেজি করে চাল দেয়া হয়। জমির জরিপ নিয়ে সমস্যা মেটানো হয়েছে। কৃষি মান্ডি হয়েছে। এখানে ট্রমা সেন্টার হয়েছে, ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার হয়েছে। ১১ একর জমির উপর ক্ষুদ্র শিল্প হবে। অ্যাগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রি হবে সরকারের জমিতে। হাজার হাজার ছেলে মেয়েদের চাকরি হবে। কৃষি সম্পর্কিত জিনিস তৈরি হবে।

১:৪৪: সিঙ্গুরে যে জমি দখলের আন্দোলন হয়েছে, অনশন করে আমরা সেই আন্দোলনে জয়ী হয়েছিলাম। কালা কৃষি কানুন দিল সরকার বদল করতে বাধ্য হয়েছিল। সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র।

১:৪৩: গতবার আমি বেচারামকে বলেছিলাম যে আমি সিঙ্গুর থেকে লড়তে চাই। কিন্তু বেচা বলেছিল, মাস্টারমশাই শুনবেন না। তাই আর কথা এগোইনি। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে আমি আপনাদের জন্য ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। ২৫ শে সেপ্টেম্বর ২০০৬ বিডিও অফিসে মার খেয়ে ছিলাম।

১:৪২: আমি অবাক হয়ে গেলাম কি করে মাস্টারমশাই বিজেপির হয়ে দাঁড়াতে পারেন। ওনার বয়সকে আমি শ্রদ্ধা করি। আমি ওনাকে বলেছিলাম আপনাকে আমি কোন একটা উপদেষ্টা কমিটিতে যোগ করে নেব। কিন্তু উনি শুনলেন না। আমি ওনার বয়সকে সম্মান করি।

১:৪১: সিপিএম সমস্ত শক্তি দিয়ে সিঙ্গুর দখল করতে চেয়েছিল। যারা সেই সময় মানুষের উপর অত্যাচার করেছিল, সেই সিপিএমের হার্মাদরা আজ বিজেপির ওস্তাদ হয়ে গেছে।

১:৪০: আমি নন্দীগ্রাম থেকে সিঙ্গুর এলাম। গতকাল ওখানে প্রচার শেষ হয়েছে। জমি আন্দোলনের কথা আপনারা জানেন। তাপসী মালিককে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে। কৃষিজমি আন্দোলনের সময় আপনারা আমাদের পাশে ছিলেন, অনেকভাবে সহযোগিতা করেছেন। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #Singur, #Trinamool Congress, #West Bengal Elections 2021

আরো দেখুন