দুই তৃতীয়াংশ আসনে জিতে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্যে সরকার গড়বে তৃণমূলই: তৃণমূল
‘বিজেপি যদি বাংলায় ২৫-৩০ শতাংশ আসনও পায় তাহলে বুঝতে হবে তারা ভাগ্যবান’। সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে এদিন উপস্থিত ছিলেন, সুখেন্দু শেখর রায়, রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন এবং তৃণমূলের সহ সভাপতি যশোবন্ত সিনহা।
নন্দীগ্রাম ভোট প্রসঙ্গে সুখেন্দু শেখর বাবু বলেন, ‘বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভয় দেখানোর পরেও মানুষ বিশেষ করে মহিলারা বুথে গিয়ে গণতন্ত্রের এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন তাঁরা।’
তিনি আরো বলেন কয়েকটি বুথ জ্যামের খবর এসেছে নির্বাচন কমিশনকে দল জানিয়েছে সে কথা।
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সাংসদ বলেন উত্তেজক বুথের তালিকা আগাম দেওয়া সত্ত্বেও কেন কোন ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন! কেন নন্দীগ্রামে ১৪৪ ধারা জারির অবস্থা তৈরি হল?
কেশপুর খুন নিয়েও সাংসদ বলেন বিজেপি সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করলেও মানুষ তোয়াক্কা করেন নি।
প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজকের সভায় বলেছেন এই দুই পর্বে বিজেপি ৮০-৯০% আসনে জিতবে। বিষয়টি হাস্যকর’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য কেন্দ্রে লড়তে পারন , প্রধানমন্ত্রীর এই বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবিও জানায় তৃণমূল। এ বিষয়ে যশোবন্ত সিনহা বলেন তাহলে কি প্রধানমন্ত্রী এটা বলতে চান নন্দীগ্রামবাসীর ওপর ভরসা নেই মুখ্যমন্ত্রীর!
ভোট চলাকালীন সময়ে কেন প্রধানমন্ত্রীকে ভাষণ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হল এই নিয়ে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। যশোবন্ত সিনহা এ বিষয়ে বলেন, ‘কমিশনের নিয়ম ভোটের ৩৬ ঘন্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হবে। কিন্তু এই প্রযুক্তির যুগে কি এটা সম্ভব। টেলিভিশন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ সব দেখছে। এ বিষয়ে এখনো কেন কোন সিদ্ধান্ত নিল না কমিশন!’
স্বল্প সময়ের ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত রাতারাতি প্রত্যাহারের বিষয়েও কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে রাজ্যের শাসক দল। যশোবন্ত সিনহা বলেন, এটা কি এপ্রিল ফুল করা হল দেশবাসীকে? ওরা এখন ভোটে হারছে বলে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে। একবার ভোট মিটে গেলে আবার সুদ কমিয়ে দেবে।