দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

খানাকুলে তৃণমূলের বুথ সভাপতি খুন

April 1, 2021 | 2 min read

ভোটের মুখে খানাকুলে (Khanakul) তৃণমূলের এক বুথ সভাপতিকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম নুরসে আনোয়ার। মঙ্গলবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার খানাকুলের পার হরিশচক এলাকায় তৃণমূলের ওই কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, মুখে অ্যাসিড ঢেলে তাঁকে খুন করা হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধারের পর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়ায়। দফায় দফায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা খানাকুলের রাজহাটিতে রাস্তা অবরোধও করেন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে আরামবাগের এসডিপিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। এদিন গোঘাটের কামারপুকুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। সেই সভার পরই ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূল (Trinamool) প্রার্থী দিলীপ যাদব, মুন্সি নজবুল করিম। উত্তেজিত দলীয় কর্মীদের তাঁরা শান্ত করেন। এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। খুনের অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।

স্থানীয় ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পার হরিশচক গ্রামের বাসিন্দা নুরসে আনোয়ার তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন। মৃতের দাদা শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার ভাই একটি কাজে ব্যাঙ্কে যায়। তারপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। ভোটের কাজে ভাই প্রতিদিনই বেরিয়ে যেত। বাইরেও থাকত। অনেকসময় রাতে আত্মীয়দের বাড়িতেও থাকত। আমরা ভেবেছিলাম ও হয়তো কোনও আত্মীয় বাড়িতেই আছে। কিন্তু, রাতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর করেও তার সন্ধান পাইনি। এদিন সকাল থেকে নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করি। বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নদীর ধারে ভাইয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বলে খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেখানে যাই। ভাইকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পিছনে বিজেপির লোকজন জড়িত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে বিজেপির প্রায় ২০ জন কর্মী সমর্থক গ্ৰামে প্রচার করতে এসেছিল। সেই সময় পোস্টার দেওয়া নিয়ে বিজেপির ছেলেদের সঙ্গে ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হয়। তারপরই এই ঘটনা ঘটল। আমার ভাইকে যারা খুন করেছে, তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। খানাকুলের তৃণমূল প্রার্থী মুন্সি নজবুল করিম বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই আমি ছুটে আসি। নুরসে আনোয়ার ছিলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার কর্মীদের বলেছি ভোটের সময় ওরা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করবে। ওদের সঙ্গে মানুষ নেই। একটা ঘটনা ঘটিয়ে দেবে। আমাদের কাছে খবর ছিল, ব্যারাকপুর, ভাটপাড়া থেকে এই এলাকায় দুষ্কৃতীরা ঢুকছে। যে কোনও মুহূর্তে বড় ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা ওসি, এসডিপিও সাহেবকে বিষয়টি জানিয়েও ছিলাম। মঙ্গলবার পার হরিশচকের কাছের মাঠেই বিজেপির (BJP) এক রাজ্য নেতা এসেছিলেন। এলাকায় সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়িয়ে গিয়েছেন। তারই পরিণতি এই ঘটনা। আমরা পুলিসের কাছে দাবি করছি ঘটনার পূর্ণ তদন্ত হোক। খানাকুলের বিজেপি নেতা তথা বিধানসভার প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও কর্মী বা সমর্থক যুক্ত নয়। আমরাও চাইছি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। তাহলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Trinamool Congress, #bjp, #West Bengal Assembly Elections 2021

আরো দেখুন