দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

দুই স্ত্রী, জাতি, শিক্ষা শংসাপত্র জাল – অভিযোগ হরিণঘাটার বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে

April 1, 2021 | 2 min read

হরিণঘাটার (Haringhata) বিজেপি (BJP) প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে(ECI) তথ্য গোপন করার অভিযোগ জানাল তৃণমূল(TMC) ও সিপিএম(CPIM)। তাদের অভিযোগ, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বিজেপি প্রার্থী বিবাহ, জাতি ও শিক্ষা সংক্রান্ত যে শংসাপত্রগুলি নির্বাচন কমিশনের কাছ জমা করেছেন, সেগুলি ফের খতিয়ে দেখা হোক। কারণ হলফনামায় দেখানো স্ত্রী ছাড়াও বিজেপি প্রার্থীর আরও এক স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে। সেই তথ্য গোপন করার মতো গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে শাসকদলের পক্ষ থেকে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার। বুধবার পঞ্চম দফার নির্বাচনের স্ক্রুটিনির তারিখ ছিল। সেই মতো বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী বা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন কল্যাণীতে মহকুমা শাসকের ভবনে স্ক্রুটিনিতে। সেখানেই এদিন বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ করেন হরিণঘাটা বিধানসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান চঞ্চল দেবনাথ। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আগেই অভিযোগ করেছিলেন হরিণঘাটার সিপিএম প্রার্থী অলকেশ দাস।


তৃণমূল নেতা চঞ্চল দেবনাথ বলেন, বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে মূলত তিনটি অভিযোগ আমাদের। প্রথমত ফর্ম ২৬-এর হলফনামায় তিনি তাঁর স্ত্রী এবং ছেলের নাম না দিয়ে, অন্য একজন মহিলার নাম দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, তিনি যে তফসিলি সার্টিফিকেট দিয়েছেন, সেটা আমাদের কাছে মনে হয়েছে জাল। তৃতীয়ত, তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতায় চতুর্থ শ্রেণি পাস দেখিয়েছেন। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট স্কুল থেকে তোলা হয়েছে ২০০৭ সালে। এই তিনটি জিনিস আমরা তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়েছি। আমরা এই অভিযোগ রিটার্নিং অফিসার ছাড়াও চিফ ইলেকশন কমিশন এবং ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়াকেও জানিয়েছি। তদন্তের পর বিষয়টি যদি প্রমাণিত হয়, তবে তাঁর মনোনয়ন বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করছি। পাশাপাশি হরিণঘাটার সিপিএম প্রার্থী অলকেশ দাস বলেন, নির্বাচনে সততার বিষয় থাকে। সততার অভাব থাকলে অভিযোগ তো হবেই। আর সেই অভিযোগ প্রমাণিত হলে নির্বাচন কমিশনের উচিত অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া। ত্রুটি প্রমাণিত হলে মনোনয়ন বাতিল হওয়াও উচিত।


এই বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার বলেন, ওঁদের অভিযোগ বাতিল করে দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। ওঁরা যদি এখন বলেন আমার দু’টি স্ত্রী, তবে তার প্রমাণ হিসেবে হয় রেজিস্ট্রি সার্টিফিকেট, অথবা বিয়ের কোনও ছবি দিতে হয়। কিন্তু প্রমাণ কিছুই দিতে পারেননি ওঁরা, এদিকে অভিযোগ করে বসে আছেন। বাকি অভিযোগগুলিরও কোনও প্রমাণ ওঁদের কাছে নেই। আসলে আমার সঙ্গে জনজোয়ার দেখে ওঁরা আমাকে ভয় পাচ্ছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #haringhata, #west bengl elections 2021

আরো দেখুন