কেরোসিনের দাম ফের বাড়াল কেন্দ্র
ভোটের মরশুমে পেট্রল-ডিজেলের দাম অল্প হলেও কমেছে। কিন্তু রেশন দোকানের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া কেরোসিনের মূ্ল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এপ্রিল মাসেও লিটারে দাম দেড় টাকার কাছাকাছি বাড়ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি প্রতি মাসে কেরোসিনের যে বেসিক প্রাইস ধার্য করে তার ভিত্তিতে খাদ্যদপ্তর বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে। খাদ্যদপ্তর বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, এপ্রিলে কলকাতায় রেশন দোকানে প্রতি লিটার কেরোসিনের (Kerosene) খুচরো বিক্রয় মূল্য হবে ৩৯ টাকা ১৮ পয়সা। মার্চ মাসে এই দাম ছিল ৩৭ টাকা ৭৬ পয়সা। অর্থাৎ, প্রতি লিটারে দাম বাড়ছে ১ টাকা ৪২ পয়সা। রাজ্যে বিধানসভার ভোট চলাকালীন কেরোসিনের ফের দামবৃদ্ধি কেন্দ্রের শাসক দলকে বিপাকে ফেলতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত।
প্রসঙ্গত, পরিবহণ খরচের জন্য বিভিন্ন জেলায় রেশনে কেরোসিনের দাম কিছুটা হেরফের হয়। তেল সংস্থাগুলি যে বেসিক প্রাইস ধার্য করে তার সঙ্গে জিএসটি, ডিলার -ডিস্ট্রিবিউটরদের কমিশন, পরিবহন খরচ প্রভৃতি যুক্ত করে বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়। মার্চ মাসে তেল সংস্থাগুলি প্রতি কিলোলিটার (১ হাজার লিটার) কেরোসিনের বেসিক প্রাইস নির্ধারণ করে ৩১ হাজার ৯২ টাকা। এপ্রিল মাসে তা বেড়ে ৩২ হাজার ৪০৩ টাকা হয়েছে।
গত বছরের জুন মাসের পর থেকে প্রায় প্রতি মাসে রেশনের কেরোসিনের দাম বেড়েছে। লকডাউনের সময় মাস তিনেক কেরোসিনের দামের ব্যাপকভাবে কমে যায়। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতি লিটারে দাম ৩৮ টাকার আশপাশে ছিল। মে মাসে তা ১৬ টাকার আশপাশে নেমে আসে। ফের দাম বাড়তে বাড়তে এখন ২০২০ ফেব্রয়ারি মাসের দামকে ছাপিয়ে গেল। কেন্দ্র কয়েক বছর আগে প্রতি মাসে দুই দফায় লিটারে ২৫ পয়সা করে মোট ৫০ পয়সা নিয়মিত মূল্যবৃদ্ধি চালু করেছিল। গত বছরের গোড়ার দিকে এই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে অশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক মূল্যের ওঠা-নামার ভিত্তিতে কেরোসিনের দাম ঠিক করতে থাকা তেল সংস্থাগুলি। ওই সময় থেকে কার্যত কেরোসিনে সরকারি ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কেরোসিনে কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকি দিচেছ না। যদিও ২০২০-২১ আর্থিক বছরের বাজেটে কেরোসিন খাতে ভর্তুকির টাকা রাখা হয়েছিল। ২০২১-২২ আর্থিক বছরের বাজেটে কেরোসিনের ভর্তুকির জন্য কোনও টাকা কেন্দ্রীয় বাজেটে রাখা হয়নি।