ভোটের মরশুমে বিজেপি বিরোধীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি, উঠছে প্রশ্ন
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভোট আসতেই বাকি চার রাজ্যেও বিজেপি বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সক্রিয়তা বেড়েছে। বিজেপি বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, কেন্দ্রের ইশারাতেই এসব হচ্ছে। ভোটের কথা মাথায় রেখেই ইডি, সিবিআই, আয়কর দপ্তর ও এনআইএ-র অপব্যবহার করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। যদিও অভিযোগ খারিজ করে বিজেপি বলছে, ভোটের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। আইন আইনের পথেই চলবে। দু’পক্ষের এই চাপানউতোরের মধ্যেই বাস্তব হল, ভোটের মরশুমে বিরোধী নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির হানা, তাঁদের তলব করার ভূরিভূরি ঘটনা সামনে আসছে। তা শুধু পশ্চিমবঙ্গে সীমাবদ্ধ নেই। ভোটমুখী তামিলনাড়ু, কেরল, অসম ও পুদুচেরি, সর্বত্রই একই চিত্র।
ভোটমুখী তামিলনাড়ুতে গত সপ্তাহেই আয়কর দপ্তর হানা দিয়েছে ডিএমকে সুপ্রিমো স্ট্যালিনের মেয়ে-জামাইয়ের বাড়িতে। হানা চলেছে ডিএমকে নেতা সেন্থিল বালাজির বাড়িতেও। ভোটের আগে টাকা বিলির চেষ্টা চলছিল বলে অভিযোগ। তবে, গত সপ্তাহের এই আয়কর হানা থেকে অভিযোগের সপক্ষে তেমন কোনও শক্তিশালী প্রমাণ মেলেনি বলেই সূত্রের খবর।
ভোটের মুখে দক্ষিণের আরও এক রাজ্য কেরলেও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সক্রিয়তা নজরে পড়ার মতো। বিশেষ করে ইডির বাড়তি সক্রিয়তা চোখে পড়ছে বাম শাসিত কেরলে। সেখানে আবার ইডির বিরুদ্ধে পাল্টা এফআইআর করতে দেখা গিয়েছে রাজ্য পুলিসকে। ইডির বিরুদ্ধে কেরল পুলিসের অভিযোগ, সোনা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের উপর চাপ তৈরি করছেন ইডির অফিসাররা। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নাম জড়িয়ে দিতেই সুরেশের উপর কেন্দ্রীয় সংস্থা চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ। গতমাসে কেরল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বোর্ডের (কেআইআইএফবি) বেশ কিছু কর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ইডি। বিদেশি মুদ্রা বিনিময় আইন ভঙ্গের অভিযোগে এই মামলা। ঘটনাচক্রে, এই বোর্ডের সদস্য স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। এই অবস্থায় সিপিএমের অভিযোগ, ভোটের আগে ইডিকে ব্যবহার করে বিজয়নকে নিশানা বানাতে চাইছে মোদি সরকার।
অসমেও কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে বিজেপি বিরোধীদের মুখ বন্ধের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। সেখানে দেশ-বিরোধী কাজের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কৃষক নেতা অখিল গগৈকে। ফলে, ভোটের মরশুমে এই ইস্যুতে বিজেপি ও বিরোধী দলগুলির চাপানউতোর অব্যাহত।