মাদারিহাট আসন দখল করতে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা
আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বিধানসভা আসনটি দখল করতে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। প্রচারের শেষ পর্বে মঙ্গলবার মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়ালেন তৃণমূলের প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকরা। দলের জেলা কমিটি সূত্রের খবর, এদিন জয়বীরপাড়া, রহিমপুর, লঙ্কাপাড়া, রামঝোরা চা বাগান, এমএলএর হাট, শিশুবাড়ি চৌপথি, মাদারিহাটের মসজিদপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচারাভিযান, পথসভা করেন তাঁরা। দলের মহিলা কর্মী, ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্যদের পৃথকভাবে নির্বাচনি প্রচারে ঝাঁপাতে দেখা গিয়েছে।
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বীরপাড়ায় তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে ভোটের প্রচার সেরেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। যদিও মাদারিহাট বিধানসভা আসনটি দখল করে বিজেপি। এবছর ফালাকাটায় এলেও ভোটের প্রচারে মাদারিহাটে আসেননি তৃণমূল নেত্রী। জনসভা করতে পাঠিয়েছেন যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে। এখন রাগ, গোঁসা, অভিমান ফেলে একে অপরের কাছে ছুটছেন তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা। ওই বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ১২টি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা রয়েছে। এগুলির মধ্যে ১০টি গ্রামপঞ্চায়েত মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের ও ২টি জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের। মোট চা বাগান রয়েছে ২৪টি। এগুলির মধ্যে ৫টি চা বাগান বানারহাট ব্লকের।
দলের জেলা কমিটির সহসভাপতি পঙ্কজ দাস বলেন, ‘ভোটে জিততে তৃণমূলের সর্বস্তরের কর্মীরা এককাট্টা হয়ে প্রচারে নেমেছেন। এবার বিজয় নিশ্চিত।’