চড়া রোদে প্রচার! মুশকিল আসান মমতার ছবিওয়ালা নীল-সাদা টুপি
প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও তৃণমূলের যে-কোনও সভায় উপছে পড়া ভিড় লক্ষ করা গিয়েছে। কর্মী-সমর্থকদের কিছুটা স্বস্তি দিতে দলের পক্ষ থেকে পাতলা কাপড়ের ছাউনি দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাতেও সূয্যি মামার তেজে যেন প্রাণ ওষ্ঠাগত। কাঠফাটা রোদ্দুর থেকে কিছুটা নিস্তার পেতে দলের তরফ থেকে কয়েক লক্ষ টুপি বিলি করা হয়েছে।
তৃণমূল নেত্রীর ছবিওয়ালা নীল-সাদা সেই টুপি এবার ভোটের অন্যতম সেরা বস্তু। যে-কোনও সভার আগেই দলীয় কর্মীদের পক্ষ থেকে এই টুপি বিলি করা হয়। আর তা সংগ্রহ করতে আট থেকে আশি, এমনকী ঘরের মহিলাদের মধ্যেও বেশ উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সভা তো বটেই অন্যান্য নেতানেত্রীর সভাতেও প্রত্যেকের মাথায় এই টুপি শোভা পাচ্ছে। অতি সম্প্রতি সোনারপুরে তৃণমূল নেত্রীর জনসভা ছিল। দল-মত নির্বিশেষে স্টেশন চত্বরে এই টুপি বিলি করতে দেখা গেল দলীয় কর্মীদের। কেউ একটা নিচ্ছেন, আবার কাউকে দু’টো করেও তা দেওয়া হচ্ছে। সভায় কেউ যাচ্ছেন কি না, তা না জেনেই দরাজ হাতে তৃণমূলের পক্ষে এই টুপি বিলি করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে গ্রাম থেকে শহর প্রায় সব জায়গায় এই টুপির ছড়াছড়ি। বুধবার দেবের একটি সভা শুরু হওয়ার আগে নিমেষে এই টুপি বিলি শেষ হয়ে যায়। কচিকাঁচারাই এটা সবচেয়ে বেশি সংগ্রহ করেছে। সভায় আসছেন। অথচ মাথার উপর কোনও ছাতা বা ঢাকা দেওয়ার কিছু নেই। এরকম পরিস্থিতিতেই মা-বোনেদের মাথায় টুপি পরিয়ে দিচ্ছেন দলীয় কর্মীরা, দায়িত্ব নিয়ে। সভায় আসা অনেকে আবার বাড়িতে থাকা বাচ্চাদের জন্যও দু’-একটি বাড়তি টুপির জন্য আবদার করছেন নেতাদের কাছে।
‘বাংলার গর্ব মমতা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে নির্বাচনের আগে থেকেই প্রচার শুরু করেছিল তৃণমূল। আর ভোটের সময় এই বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে এই টুপিকে মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের এই উদ্যোগে কর্মী-সমর্থকদের এবং সাধারণ মানুষ (যাঁরা এই টুপি সংগ্রহ করছেন) বেশ খুশি। কেউ বলছেন, সব সময় ছাতা নিয়ে বেরনো যায় না। দলীয় সভায় রোদ থেকে বাঁচতে এই টুপিই ভরসা। এমন উদ্যোগ অবশ্য অন্য কোনও দলের পক্ষ থেকে দেখা যায়নি বলেও অনেকে জানিয়েছেন। দলীয় সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে এমন টুপি ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ বিলি করা হয়ে গিয়েছে।