কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা ন্যায় পাচ্ছি না: বেহালায় বললেন মমতা

April 8, 2021 | 5 min read

চতুর্থ দফার নির্বাচনের প্রচারের আজ শেষ দিন। এরই মধ্যে জেলায় জেলায় প্রচারের ঝড় তুলেছেন তৃণমূলনেত্রী। উত্তর থেকে দক্ষিণ – মানুষের দরবারে পৌঁছে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ হুগলীর বলাগড় ও শ্রীরামপুরের পাশাপাশি হাওড়ার ডোমজুড়ে এবং কলকাতার উপকণ্ঠে বেহালা চৌরাস্তায় সভা তাঁর।

লাইভ আপডেট

৫: ০৫: আমার পা ভাঙা তো কি হয়েছে। মায়েদের পা আছে, ভাইদের হাত আছে। খেলা হবে। জেতা হবে। বিজেপি হঠাও। বাংলা বাঁচাও।

৫:০২: টাকার গ্যাস বেলুন ওড়াচ্ছে। কোটি কোটি টাকার হোটেল ভাড়া করেছে। মিটিং-এর জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। এরকম আমি কোন‌ওদিন দেখিনি। টাকা নিয়ে ভোট দেবেন না। আমার তো হিংসা হচ্ছে আমি কেন বেহালায় দাঁড়ালাম না। সত্যি বেহালার মানুষ আমাকে ভীষণ ভালোবাসেন। আমি আপনাদের কাছে চিরঋণী।

৫:০০: কেন্দ্রীয় বাহিনী তো নির্বাচনের পর চলে যাবে। আমরাই তো থাকবো। ওদের অতিথির মত ব্যবহার করুন। ওরা সাহস কি করে পায় গ্রামে গ্রামে গিয়ে মহিলাদের নির্যাতন করার। নন্দীগ্রামের অত্যাচার আমি দেখেছি। ওরা ভয় দেখাবে, ধমকাবে, চমকাবে, ভয় পাবেন না। কিসের ভয়? কাকে ভয়? বাংলা বাংলায় থাকবে।

৪:৫৮: অমিত শাহ বলেছিল ছত্রিশগড়ের ২০১৮ সালের ৬৫ আসলে জিতবে। জিতেছেন ১৫ আসনে। ঝাড়খন্ডে বলেছিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন। পেয়েছেন ২৫টা আসন। দিল্লিতে বলেছিল ৬০ আসন পাবেন, পেয়েছেন ৮টা আসন। আমাদের এখানে আগে হাজার ১৮টা আসন পাক তারপর দেখব।

৪:৫৬: বাংলাকে গুজরাট করতে দেব না। গুজরাট হবে না। বাংলা মোদীর হবে না। বাংলা অমিত শাহের হবে না। বাংলায় গুন্ডা হবে না। বিজেপি বাংলা দখল করতে চায়, বাংলা ভাগ করতে চায়। আমাকে রোজ ভ্যাংচায়। আমাকে ভ্যাংচে কোনও লাভ নেই। আমি এই মাটির মেয়ে, এই মাটি নিয়ে গর্ব করব।

৪:৫৪: ভোটের আগে আবার লকডাউন করতে চাইছে যাতে কেউ বেরোতে না পারে। আমি করতে দেব না। খেলা হবে। মা-বোনেদের হাতা খুন্তির খেলা হবে। একটা করে ভোট দেবেন, আর বিজেপিকে মাঠের বাইরে বের করে দেবেন।

৪:৫৩: আমাদের মাইনাস জায়গাগুলো আমরা উদ্ধার করে ফেলেছি। আগামীদিনেও মানুষ শুধু তৃণমূলকেই ভোট দেবে। অসমে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিয়েছে ১৪ লক্ষ বাঙালিকে। আমি থাকতে NRC-NPR করতে দেব না। আগের দিল্লি সামলা, তারপর ভাবিস বাংলা। ৬ বছরে বিক্রি করা ছাড়া কিছু করেছে?

৪:৫১: কেউ কেউ ছদ্দবেশী মিথ্যে কথা বলে। ছলনা করে। আমরা বলি, হরে কৃষ্ণ হরে হরে, তৃণমূল ঘরে ঘরে, সিপিএমের হার্মাদগুলো ওদের বন্ধু হয়েছে। বিজেপির টাকা নিয়ে বিক্রি হয়ে গেছে। আসল বামপন্থীরা বিক্রি হয়েছে, এটা আমি মনে করি না। গেরুয়া পরলে, তিলক কাটলেই কি সাধু হ‌ওয়া যায়? ওরা বলে, হরে কৃষ্ণ হরি হরি, মানুষের টাকা চুরি করি, হরে কৃষ্ণ হরি হরি, মেয়েদের অসম্মান করি। আমি বলি, হরে কৃষ্ণ হরি হরি, বিজেপি যাবে গড়াগড়ি।

৪:৪৯: আমি মোদীকে চিঠি লিখে বলেছিলাম, আপনাকে পয়সা দিতে হবে না। আপনারা আমাদের অনুমতি দিন, আমি সব জনসাধারণকে কোভিডের টিকা দেবো। কিন্তু ওরা দেয়নি। এর পিছনে কোন‌ও না কোনও কারণ আছে। আমি খুঁজে বের করিবোই। কেন মাত্র একটা কোম্পানির ওষুধ কেনা যাবে? একচেটিয়া অধিকার। আমি এগুলো বুঝিনা। আমিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম।

৪:৪৮: রাজারহাটে সিলিকন ভ্যালি হচ্ছে। তাজপুরে বন্দর হচ্ছে। ৫ লক্ষ ছেলেমেয়েকে আমরা সরকারি বেসরকারি চাকরি দেবো। বাংলায় কেউ না খেতে পেয়ে মারা যায় না। কোভিডের সময় কোথায় ছিল? কেউ একবার দেখতে আসেনি। ওষুধ দেয় নি, পয়সা দেয় নি। আজ ভোট চাইতে এসেছে।

৪:৪৭: বাংলায় গর্ব করে বলতে। আম্পান আর কোভিড সত্ত্বেও তিনদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ আমরা রিস্টোর করেছি। ডেউচা পাচামি প্রকল্প শুরু হলে বিদ্যুতের যোগান পাবে, দাম কমে যাবে।

৪:৪৫: ছয় বছরে কত ডবল ইঞ্জিন এনেছেন? নোট বন্দি করেছেন, অর্থনীতির ধ্বসে গেছে। চাকরি নেই, রেল বিক্রি করে দিচ্ছে, কোল ইন্ডিয়া বিক্রি করে দিচ্ছে, বিএসএনএল, এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করে দিচ্ছে, ব্যাংক বন্ধ করে দিচ্ছে, বীমা বিক্রি করে দিচ্ছে, SAIL বিক্রি করে দিচ্ছে। কার‌ও চাকরি থাকবে না।

৪:৪৪: পার্থ দা রোগা হোক মোটা হোক, সে আপনার ঘরের লোক। সারাক্ষণ আপনাদের এখানে পড়ে থাকে। ওরা কোথা থেকে দুটোকে ধরে এনেছে। ওদের কোন‌ওদিন কাজে পাবেন? যারা টাকার জন্য বিক্রি হয় তাদের সাথে আমার সম্পর্ক নেই। রত্নাও আপনাদের ঘরের মেয়ে। ওর মা আমাদের কাউন্সিলর ছিল। এখান থেকে যেন আমি খালি হাতে ফিরে না যাই।

৪:৪১: ২০১১ পর্যন্ত বাংলায় ১২ টা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আমাদের আমলে ৪৫ টা বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। কন্ট্রাক্টচুয়াল থেকে ক্যাজুয়াল সব চাকরির বয়স বাড়িয়ে দিয়েছি। হিটলার করলেই ৩ লাখ টাকা পাবে সবাই। বাকি কিছু রাখেনি। যারা করে, তারা বলে না। যারা বলে তারা করেনা।

৪:৪০: মা-বোনেদের লক্ষ্মীর ভান্ডার করে দেব। ৫০০ থেকে হাজার টাকা হাত খরচা দেব প্রতিমাসে। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেওয়া হবে। প্রাইভেট হসপিটালে চিকিৎসা করাতে পারবেন। তিন বছর পর পরেই কার্ড রিনিউ হবে। আজকের সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় চিকিৎসা হয়। সরকারি হাসপাতালে ভোল পাল্টে দিয়েছি। জান ভাঙড়, পিজি গিয়ে দেখে আসুন, AIIMS -এ‌ও এত ভালো ডাক্তার নেই।

৪:৩৯: বিজেপিকে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে আমরা পরাজিত করব‌ই। গদ্দারগুলো চলে গেছে আমি খুশি। আমি নেতা তৈরি করতে পারি।

৪:৩৭: বিজেপি বলে সুনার বাংলা গড়বে। বাংলাও বলতে পারেনা। শুধু অপমান করে। বাংলার মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে চায়। এত সহজ! একা আমার সাথে লড়তে পারে না! শুধু ফন্দি। কি করে ভোট আটকানো যায়, কেন্দ্র বাহিনী দিয়ে ভয় দেখানো যায়। বাইরে থেকে গুন্ডা আনা যায়। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে কোন‌ও ন্যায় পাচ্ছি না। বিজেপির সব এজেন্সি কিনে নিয়েছে। শুধু হুমকি দিচ্ছে। এটা লজ্জার।

৪:৩৫: আপনারা চান বিনা পয়সায় রেশন? তাহলে তৃণমূলকে জেতাতে হবে। জিতলে শুধু বিনা পয়সায় রেশন নয়, দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিয়ে আসবো। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার জন্য ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড করে দেবো। বাবা-মাকে চিন্তা করতে হবে না। আমি দেখতে চাই বাংলার ছেলেমেয়েরা বিশ্বজয় করুক।

৪:৩২: জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের বিভিন্ন প্রকল্প আছে। মোদী তিনটে কালাকানুন নিয়ে এসেছে। কৃষকদের সবকিছু লুঠ করে নেবে। গ্যাসের দাম কত? এ কয় মাসে কত বেশি বাড়িয়েছে? কোভিডে টাকা নষ্ট, নোট বন্দির ধোঁকা। এখন গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। বিনা পয়সার চাল দেবো আর ফোটবেন হাজার টাকার গ্যাসে?

৪:৩০: যে বাংলা ছিল ২৭-২৮ নম্বরে সেই বাংলা আজ ১০০ দিনের কাজে এক নম্বরে। MSME -তে এক নম্বরে, স্কিল ডেভলপমেন্ট-এ এক নম্বরে। আমরা জেলায় জেলায় সরকারি প্রশাসনিক বৈঠক করতাম। এখন পাড়ায় সমাধান আর দুয়ারে সরকার হচ্ছে। আগামীদিনে বছরের চার মাস হবে।

৪:২৯: আমরা হকারদের আইডি কার্ড তৈরি করে দিয়েছি। লকডাউনের পর তাদের আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে আওতায় আনা হয়েছে।

৪:২৭: আমি বলে মানুষকে প্রতারণা করি না। যা বলি, করে দেখিয়ে দিই। বেহালা জলের সমস্যা অনেক সমাধান হয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা ভালো করা হচ্ছে।

৪:২৬: আমাদের পরিকল্পনা আছে মাঝেরহাট থেকে টালিগঞ্জ ফাঁড়ি অব্দি একটা ফ্লাইওভার করার। সেখান থেকে যাদবপুর ফাঁড়ি। তারপর গড়িয়া পর্যন্ত। এতে অনেক সময় বাঁচবে। বেহালা আগে বেহাল ছিল। আমরা সুর ফিরিয়ে দিয়েছি, তান ফিরিয়ে দিয়েছি।

৪:২৪: এখানে ব্যবসা বেড়েছে। কত মানুষ আসছে। আগামীদিনে অল্প সময়ে আপনারা সহজেই ধর্মতলা পৌঁছে যাবেন। বেহালার সত্যজিৎ রায় স্টেডিয়াম করে দিয়েগেছিলাম। আগামীদিনে সুযোগ পেলে জোকা থেকে ডায়মন্ডহারবার পর্যন্ত করে দেব। মাঝেরহাট ব্রিজ-এর কোন সংস্কার করেনি আগের সরকার। সেটার জন্য আপনাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি অন্তর দিয়ে অনুভব করতাম। যেদিন ব্রিজটা হয়ে গেল, আমি শান্তির নিশ্বাস ফেলেছি।

৪:২৩: আমি মাথা নত করব না। আপনারাই আমাকে রাজনৈতিকভাবে জন্ম দিয়েছেন। আপনাদের কাছে আমি বার বার করে আসি আর মনের কথা বলি। বেহালা কি ছিল। বৃষ্টি হলেই কোমর পর্যন্ত জল। আমি চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছি, যাতে জল না জমে। বেহালার জন্য মেট্রোরেল প্রকল্প চালু করেছিলাম। হয়তো সময় অনেক লাগছে, আমি থাকলে এক বছরে করে দিতাম। কলকাতা ও আশেপাশে যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য মেট্রো করে দিয়েছিলাম।

৪:২২: এবারের নির্বাচনে এমন করে সাজিয়েছে আজ বেহালায় তো কাল বর্ধমানে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতায় চারভাগে ভোট। গতকাল কোচবিহারে ছিলাম তো আজ যাদবপুর। তামিলনাড়ু, কেরালায় এক দফায় নির্বাচন। বাংলায় কেন এত দফা? মমতা ব্যানার্জি তবু মচকাবে না। প্রচার শুরুতেই আমার পা বারোটা বাজিয়ে ভেবেছিল আমি প্রচারে বেরোবো না। আমার একটা পা কাজ করবে, আমার মা বোনেদের দুটো পা আছে। দেখি আমাকে কিভাবে রুখতে পারে।

৪:২১: বেহালা রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল। নির্বাচনের রায় কি হবে, যদি গণ আদালতের রায় নেওয়া হয়, তৃণমূলকে ক্ষমতায় আসা থেকে কেউ আটকাতে পারবেনা।

৪:২০: বেহালা পূর্ব এবং পশ্চিমে রত্না এবং পার্থ চ্যাটার্জি আমাদের প্রার্থী। আমি হুগলি, হাওড়াতে প্রচার করে এলাম। যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার আগে আমি বেহালা চৌরাস্তার মাটি ছুঁয়ে যাই। চতুর্থ দফার নির্বাচনের শেষ প্রান্তে আমি আপনাদের কাছে এলাম। আমি আপনাদের ঘরের মেয়ে মমতা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #West Bengal Assembly Election 2021, #Behala

আরো দেখুন