দীঘাতেও টয়ট্রেনে ঘুরতে পারবেন পর্যটকেরা
বাংলার পর্যটকদের জন্য টয়ট্রেন (Toy Train) আর দার্জিলিং সমার্থক। কুয়াশা মোড়া পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে হেলেদুলে এগিয়ে চলে ট্রেন। জানলার পাশে বসে দেখা মেলে দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘার। অনায়াসেই টয়ট্রেনে চেপেই সময় কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু এতদিন টয়ট্রেন শুধু পাহাড়ের রানী দার্জিলিংয়ের অহংকার ছিল। এখন সেই ট্রয়ট্রেন রাইডের আনন্দ মিলবে দিঘাতেও। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই সমুদ্র সৈকতে চালু হল এই পরিষেবা।
এতদিন সৈকতে বসে উপভোগ করা যেত সমুদ্রের শোভা। দিঘা থেকে উদয়পুর যাওয়ার জন্য এতদিন ভরসা ছিল অটো, টোটা কিংবা নিজেদের চারচাকা। ভাড়া দরাদরি নিয়ে অনেক সময় পর্যটকদের সঙ্গে বচসা বাঁধত। বহু পর্যটকের এ নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতাও হয়েছে। এবার একদিকে সমস্যারও স্থায়ী সমাধান হল। আবার ভ্রমণের আনন্দ মিলবে টয়ট্রেনে। দিঘা মোহনা থেকে উদয়পুর (ওড়িশা সীমানা) পর্যন্ত চালু হল টয়ট্রেন। এককথায় দার্জিলিংয়ের আকর্ষণ এবার দীঘাতেও। এতে বিশেষ করে উপকৃত হবেন বয়স্ক পর্যটকরা।
মঙ্গলবার ওই টয়ট্রেন সার্ভিস চালু করল দিঘা উন্নয়ন পর্ষদ। সমুদ্রের পাড় বরাবর ছুটবে এই ট্রেন। ফলে পর্যটকরা টানা ৩ কিলোমিটার সমুদ্রের শোভা উপভোগ করতে পারেন টয়ট্রেনে বসেই। ট্রেনে টিনটি কামরা রাখা হয়েছে। প্রতিটি কামরায় ৩০টি করে আসন থাকছে। টিকিট মূল্যও সাধারণের সাধ্যের মধ্যে।
ইতিমধ্যে, দিঘা সমুদ্র সৈকতের অভাবনীয় উন্নতি ঘটিয়েছে রাজ্য সরকার। সৈকত বাঁধিয়ে তৈরি হয়েছে বসার জায়গা। সৌন্দার্যায়নও করা হয়েছে। এবার পর্যটকদের সুবিধা ও আরামের কথা মাথায় রেখে চালু হল টয়ট্রেন পরিষেবা।