কেন্দ্রের পরিকল্পনার অভাব, দেশজুড়ে ভ্যাকসিন সঙ্কট
দেশজুড়ে যখন ভ্যাকসিনের(Vaccine) অভাব ক্রমেই তীব্র হচ্ছে, তখন কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরেও ভ্যাকসিন নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। দেশের ব্যাঙ্কিং সেক্টরে যুক্ত প্রায় ১৪ লক্ষ কর্মী অফিসাররা ২০২০ সালে করোনা(COVID19) ও লকডাউনের (Lockdown) সময় একনিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে যখন, তখন তাদের উপরই সবথেকে বড় চাপ আসতে চলেছে বলে মনে করছে অর্থমন্ত্রক। আর তাই দেশের ব্যাঙ্ককর্মীদের বিশেষ প্রাধান্য দিয়ে ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যবস্থা হোক বলে দাবি তুলেছে অর্থমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখে অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, ব্যাঙ্কিং সেক্টরের কর্মীদের যেভাবেই হোক ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা হোক।
আরও বলা হয়েছে, ৪৫ বছরের বেশি বয়সের লোকজন টিকা পাবে বলে নিয়ম করা হয়েছে, সেই শর্ত এক্ষেত্রে শিথিল করা হোক। সব বয়সের ব্যাঙ্ককর্মীদেরই দেওয়া হোক ভ্যাকসিন। অর্থনীতিকে সচল রাখতে ব্যাঙ্কিং সেক্টর সক্রিয় ও কার্যকর রাখা সর্বাগ্রে জরুরি। অর্থমন্ত্রক জানাচ্ছে, সেই কারণেই ব্যাঙ্কিং সেক্টরের কর্মীদের সুস্থ রাখতে হবে। বস্তুত ব্যাঙ্ককর্মীদের করোনা যোদ্ধা হিসেবেই বিবেচনা করার কথা বলেছে অর্থমন্ত্রক।
করোনার সংক্রমণ যখন ক্রমহ্রাসমান ছিল, তখন ভ্যাকসিন এসে গেলেও যারা তা পাওয়ার যোগ্য ছিলেন, তাঁদের মধ্যে যথেষ্ট শৈথিল্য দেখা যায়। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ওই প্রবণতা ছিল। কিন্তু আবার যখন বাড়তে থাকে করোনার সংক্রমণ এবং একইসঙ্গে ৪৫ বছর বয়সীরা সকলেই ভ্যাকসিন নিতে পারবে বলে সরকারি স্তরে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়, তাতে আচমকা দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের চাহিদা প্রবল আকার ধারণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও মাত্র কয়েকদিনের টিকা মজুত আছে।
কেন্দ্রীয় সরকার(Central Govt) জানতে পারছে, বেশ কিছু রাজ্য থেকে লকডাউনের আশঙ্কায় পরিযায়ী শ্রমিকের দল ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশ আশঙ্কা করছে আবার লকডাউন ঘোষণা করা হলে ট্রেন, বাস বন্ধ হয়ে যাবে কিংবা তাতে জায়গা পাওয়া যাবে না। তাই সতর্কতা হিসেবে বহু পরিযায়ী শ্রমিক আগেই ফিরে যাচ্ছে নিজেদের রাজ্যে।