সায়নীর ভিডিওর ভিউয়ার্স ছুঁল ৫ কোটি
খেলা হবে (Khela Hobe) গানের সঙ্গে সায়নী ঘোষের(Sayoni Ghosh) প্রচারের ভিডিওর ভিউয়ার্স পাঁচ কোটি ছুঁল। সায়নীর ফেসবুক পেজে পোস্ট করা সেই ভিডিওতে আসানসোল দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থীকে কখনও দেখা যাচ্ছে সমর্থকদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে, কখনও আবার প্রচারে ঝড় তুলে দৌড়ছেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও এখনও পর্যন্ত শেয়ার করেছেন এক লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ। কমেন্ট করেছেন ৭৮ হাজার, ২০ লক্ষ মানুষ ভিডিওটি লাইক করেছেন। এই পরিসংখ্যান দেশের যে কোনও বড় তারকার চোখ কপালে তুলবে। প্রতিদিন বাড়ছে তাঁর ফলোয়ার। তাঁর পরিচিত বিশেষজ্ঞ টিমের নতুন নতুন প্রচারের ভিডিও ভোটারদের মধ্যেও নতুন উন্মাদনা সৃষ্টি করছে।
সায়নীর বিপরীতে তারকা প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল লড়াই করলেও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারে তৃণমূলের সেলিব্রিটি প্রার্থীকে টেক্কা দিতে পারছেন না। ফলোয়ার, ভিউয়ারের সংখ্যা থেকেই তা স্পষ্ট। যদিও তিনিও চেষ্টার কসুর করছেন না। প্রতি মুহূর্তে প্রচারের আপডেট দিচ্ছেন নিজের ফেসবুক, ট্যুইটারের পেজে। তবে তৎপর্যপূর্ণভাবে এখনও সায়নীর ফেসবুক পেজে উজ্জ্বল উপস্থিতি প্রতিদ্বন্দ্বী অগ্নিমিত্রা পালের। রাজনৈতিক মহলের মতে, সায়নী যে রাজনৈতিক সংকীর্ণতায় বিশ্বাসী নয়, এটা তার প্রমাণ। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও যে ভোটারের আবেগকে উস্কে দেওয়া যায় তা ব্যাপকভাবে দেখা গিয়েছিল ২০১৪সালের লোকসভা নির্বাচনে। ফেসবুক থেকে ট্যুইটার, নরেন্দ্র মোদিকে এমনভাবে প্রচারের কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছিল বিজেপির আইটি সেল, যা অন্যান্য দলকে কুপোকাত করে দেয়। দেশে রাজনৈতিক প্রচারের নতুন সংস্কৃতির আমদানি করা বিজেপিকে এখন তাদের অস্ত্রেই এবার বিজেপিকে বিদ্ধ করতে মরিয়া ২৮বছরের তরুণী। প্রায় এক দশক ধরে সিরিয়াল, সিনেমা, ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে বাংলার মা, বোনেদের কাছে জনপ্রিয় তিনি। অভিনয় জীবনে সাফল্যের মধ্যগগণে থেকেও রাজনীতিতে নামার ‘ঝুঁকি’ নিয়েছেন। এতে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ার আশঙ্কা করেছিলেন অনেকেই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য বলছে, জনপ্রিয়তা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর। আসানসোল দক্ষিণের(Asansol Dakshin) তৃণমূল(TMC) প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার সময় তাঁর ফেসবুক পেজের ফলোয়ার ছিল ১৯ লক্ষ। একমাস পর সেই ফলোয়ারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০ লক্ষ।
দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর ফেসবুক পেজে নানা ভিডিও, ব্যক্তিগত অনুভূতি শেয়ার করতেন তরুণী অভিনেত্রী। কিন্তু সেই সব পোস্টে ইমোজি পড়ত তিন থেকে পাঁচ হাজারের মধ্যে। কমেন্ট ও শেয়ার করতেন ঘনিষ্ঠরাই। যদিও এখন অভিনেত্রীর প্রচারের ছবি থেকে ভিডিও নেটিজেনদের কাছে রীতিমতো হটকেক। কোনও কিছু পোস্ট হলেই হাজার হাজার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী তা শেয়ার করছেন। প্রচারের অভিনবত্বেও তিনি চমক দিচ্ছেন। কখনও ব্যাট হাতে ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়েছেন। কখনও আবার পুদিনার চাটনির রেসিপি শিখছেন, গভীর খনিতে নেমে পড়ছেন। অন্যান্য প্রার্থীরা যখন টোটো, হুড খোলা জিপের ভরসায়, তখন তিনি তীব্র রোদেও অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন। মাঝেমধ্যেই মহিলা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কোমর দোলাচ্ছেন, মেটাচ্ছেন সেলফির আবদার। তাঁর এইসব কর্মকাণ্ডই ক্যামেরাবন্দি করে ফেসবুক ও ট্যুইটারের পেজে দেওয়া হচ্ছে। যা রীতিমতো ভাইরাল হওয়ায় উচ্ছ্বসিত তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে কর্মীরা। তবে, সায়নীকে টেক্কা দিতে মরিয়া ওই আসনের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনিও প্রচারের ছবি, ভিডিও আপলোড করছেন। কিন্তু এখনও তাঁর পেজে সেই উচ্ছ্বাস ধরা পড়েনি। যদিও এ ব্যাপারে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, মানুষ আর এইসবে বিভ্রান্ত হবে না। এখানে আমাদের জয় নিশ্চিত।