রক্তস্নাত ভোট, শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত ৪
রক্তস্নাত চতুর্থ দফার নির্বাচন। কোচবিহারের শীতলকুচির জোড়পাটকিতে সিআরপিএফের গুলিতে মৃত ৪ ব্যক্তি। ভোট দিতে গিয়ে বাহিনীর গুলিতে মারা গেলেন এই ব্যক্তিরা। মাথাভাঙা হাসপাতালে তাঁদের ময়নাতদন্ত চলছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে আরও ৪ ব্যক্তি জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নিহতরা সকলেই তাঁদের সমর্থক বলে দাবি তৃণমূলের।
শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি-র হয়ে কাজ করছে। রাতভর মদ-মাংস খেয়ে সকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন করানোর ভার যাদের কাঁধে, তাঁদের নির্বিচারে গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জোড়াফুল শিবির।
স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘দলে দলে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।’’ বুথের ভিতরে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল, তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল।
মৃতদের নাম হামিদুল হক, হামিদুল হক, মনিরুল হক, নূর আলম। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে সিআরপিএফই গুলি চালিয়েছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। হিঙ্গলগঞ্জের এক জনসভা থেকে এই ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, একটি গুলির বদলা হোক একটি ভোটে।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েনও। তিনি টুইট করেন, আমাদের সৎ উপায়ে হারাতে না পেরে, আপনাদের গুলি চালাতে হল। মো-শাহ আপনারা খুনি। আপনাদের নির্দেশে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি বদল করা হয়েছে। যেখানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার এসপি বদল হয়েছে। পাঁচজন মারা গেছেন। আপনাদের দুজনের হাতেই রক্ত লেগেছে। কিন্তু এটা আপনাদের কাছে নতুন কিছুই নয়