বিধিভঙ্গের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনকে কড়া জবাব মমতার
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করুন, এমন মন্তব্যের জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শো কজ করেছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সেই শো কজের উত্তর দিলেন মমতা।
উত্তরে তিনি লিখেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) প্রতি তাঁর পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু রামনগর এক বাচ্চা মেয়েকে শ্লীলতাহানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান। তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল তৃণমূল। শো কজের জবাবে মমতা সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ করেন। এবং অন্য অভিযোগ নিয়ে কমিশন কী পদক্ষেপ করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
একাধিক জায়াগায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা অশান্তি করতে এলে একদল ওদের ঘিরে ফেলুন। আরেক দল ভোট দিতে যান। কারা এই কাজ করছে, তাদের নাম লিখে রাখুন।” এই মন্তব্যের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ৮ এপ্রিল নোটিস পাঠিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিতে বলে নির্বাচন কমিশন। সেই শো কজ নোটিসের উত্তর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখানে তিনি লিখেছেন, সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ)-এর প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করছি। তবে এক সিআরপিএফ জওয়ানের কাজের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তারকেশ্বের রামনগরে এক জওয়ান একটি বাচ্চা মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছিল বলে অভিযোগ। যার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলেও লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু তাই নয়, প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফার ভোটের সময় জওয়ানদের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তিন দফায় যাথক্রমে ৬, ১৮ এবং ১৩৪টি অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু তা নিয়েও বিশেষ কিছু পদক্ষেপ করা হয়নি বলে চিঠিতে লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই সঙ্গে শো কজের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তিনি কেবল মহিলাদের বলেছেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ করতে। যদি তাঁদের ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সিএপিএফ জওয়ান সমস্যা তৈরি করেন, তবে তাঁদের ঘেরাও করার কথা বলেছেন। ঘেরাও কোন অর্থে বেআইনি, সে প্রশ্নও তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।