শিশুকে মারের প্রতিবাদ করতেই চালানো হয় এলোপাথাড়ি গুলি? কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী
বেনজির ঘটনা রাজ্যে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মাথাভাঙায় গুলি চলল। মাথাভাঙার জোরপাকাটিতে গুলি চালানোয় অভিযুক্ত কোনও রাজনৈতিক দল নয়, অভিযুক্ত স্বয়ং কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনায় গোটা এলাকা স্তব্ধ, স্তম্ভিত গোটা মাথাভাঙা। কমিশন কার্যত স্বীকারও করেও নিয়েছে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীই। এই নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করছে নির্বাচন কমিশন। মৃতদের নাম হামিদুল হক, হামিউল হক, নুর আলম,মনিরুল হক। এছাড়াও অন্তত পাঁচজন আহত। প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেকেই বলছেন, গুলি লেগেছে নিরীহ মানুষের গায়ে, যাদের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্কই ছিল না।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে দোলা সেন এ দিন বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিধি লঙ্ঘন করছে, এই কথা যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তখন তাঁকে দুবার শো-কজ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ যখন সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে, জবাব কে দেবে। এই মুহূর্তে ভোটচলাকালীন আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের হাতে নেই। সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে আমরা এর জবাব চাই। মানুষ শো-কজ করছে, কমিশন জবাব দিক।” পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “এই ঘটনা বাংলায় কোনও দিন ঘটেনি”।
সূত্রের খবর, ঘটনার পর বাহিনী ওই এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এদিন ভোট হচ্ছিল অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভাবেই। একটি ছোট বাচ্চাকে মারার ঘটনায় কিছু লোক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এই কথাকাটাকাটির ফলে উত্তেজনা তৈরি হয়। তখনই এলোপাথাড়ি গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
এই মুহূর্তে থমথম করছে শীতলকুচি। স্থানীয়দের মত, কেন্দ্রীয় বাহিনী সামান্য সংবেদনশীল হলে চারটি তাজা প্রাণের চলে যাওয়া আটকানো যেত।