শীতলকুচির নিহতদের পরিবারের সাথে ভিডিও কল মমতার
আবারও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মমতাময়ী রূপের সাক্ষী থাকলো বাংলা। শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বললেন মমতা। আজ কোচবিহার যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু গতকাল রাতে কোচবিহারে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। যার জেরে বাতিল হয় মমতার সফর। কিন্তু প্রযুক্তির সাহায্যে, মমতার স্পর্শ পৌঁছে গেল জোড়পাটকিতে।
আজ শিলিগুড়িতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। তাঁর কোচবিহার সফর আটকাতেই ৭২ ঘন্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন, এমনটাই বলেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ১৪ তারিখ তিনি শীতলকুচি যাবেন। পাশাপাশি, বিজেপির কথাতেই এই সিদ্ধান্ত কমিশনের, এমনটাও দাবি করেন মমতা (Mamata Banerjee)। একের পর এক তোপ দাগেন তিনি।
এরপরই ভিডিও কলের মাধ্যমে পরিবারগুলির সাথে কথা বলেন তিনি। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের মমতা বলেন, ‘‘পরিবারকে সব রকম সাহায্য করা হবে। এখন যেতে পারছি না। কিন্তু আমি যাব। তোমাদের সঙ্গে দেখা করব। যা বিচার চাওয়ার চাইব।’’
বাড়ির লোক মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, “মনিরুজ্জামানের ৪৫ দিনের একটি সন্তান আছে। স্ত্রী, বাবা-মা এবং ছোট ভাই রয়েছে। মনিরুজ্জামান রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ভোটের জন্য বাড়ি এসেছিলেন। বুথের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। কোথা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসে গুলি করে পালিয়ে যায়। আমরা এর বিচার চাই।”
মনিরুজ্জামানের বাড়ির লোকের পাশেই ছিলেন নিহত আরও এক ব্যক্তি হামিদুল হকের দাদা। মুখ্যমন্ত্রীকে ভিডিয়ো কলে তিনি বলেন, ‘‘হামিদুলের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। একটি তিন বছরের কন্যাও রয়েছে। হামিদুলও রাজমিস্ত্রির কাজ করত। ওর মৃত্যুতে আমরা দিশাহারা।” এই কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী খানিক চুপ করে যান। কিছুক্ষণ থেমে বলেন, ‘‘আমি যে ভাবে পারি সাহায্য করব। ওখানে গিয়ে তোমাদের সঙ্গে দেখা করব। যা বিচার চাওয়ার চাইব।’’