শীতলকুচি: ওয়েব কাস্টিংয়ের ছবি নিয়ে এখনও অন্ধকারেই কমিশন
শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথের ভিতরে কী হয়েছিল, তা নিয়ে অন্ধকারে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। ওয়েব কাস্টিং হলেও তা ‘অফলাইন’ দেখতে পাননি কমিশনের কর্তারা। নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকার জন্যই তা অনলাইন ছিল না। এখন সেই ওয়েব কাস্টিং খুললেই সেখানকার রহস্য উন্মোচন হতে পারে। কিন্তু এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, অথচ কোনও ভিডিও ফুটেজ নেই তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। পাশাপাশি ওই বুথে গোলমালের পরে সেখানে ভোটদান করার স্থগিত নিয়েছিল কমিশন। সেখানে পুনরায় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দিনক্ষণ এখনও জানায়নি কমিশন।
কেন ভিডিও ফুটেজ নেই সেই প্রশ্ন তুলে এদিন নির্বাচন কমিশনের কাছে সওয়াল করেছেন সংযুক্ত মোর্চার নেতা বিমান বসু এবং তৃণমূলের (Trinamool) সুখেন্দু শেখর রায় ও ডেরেক ও’ ব্রায়েন। দুই দলের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে বিস্তারিত তদন্তের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহা শীতলকুচি নিয়ে মন্তব্য করে আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছ থেকে রিপোর্ট চায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। এদিন সেই রিপোর্ট আসার পর দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়। এখন এ ব্যাপারে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গিয়েছে।
আগামী শনিবার ৪৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে পঞ্চম দফার ভোট রয়েছে। এই আসনগুলি রয়েছে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, পূর্ব বর্ধমান এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। ছিলেন কমিশনের অন্য কর্তারা। পঞ্চম দফার ভোট যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেই উদ্দেশ্যে আজ মঙ্গলবার নবান্ন থেকে ওই পাঁচ জেলার বিডিও, এসডিও, এডিএম, ডিএম, পুলিসের প্রতিটি থানার আইসি বা ওসি, এসডিপিও, এসপি বা সিপি, ডিআইজি এবং আইজিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যেপাধ্যায়।
বর্তমানে রাজ্যে ১০৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। পঞ্চম দফায় বুথের পাহারার জন্য থাকবে বারাসত পুলিস জেলায় ৬৯, বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটে ৬১, বসিরহাট পুলিস জেলায় ১০৭, দার্জিলিংয়ে ৬৮, জলপাইগুড়িতে ১২২, কালিম্পংয়ে ২১, কৃষ্ণনগর পুলিস জেলায় ১১, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১৫৫, রানাঘাট পুলিস জেলায় ১৪০ এবং শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটে ৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে। ৬৯০ জন সেক্টর অফিসার থাকবেন। ১৫৭৮৯ জন লাঠিধারী কনস্টেবল বুথে মোতায়েন থাকবেন।