দেশ বিভাগে ফিরে যান

করোনা বাড়লেও সামগ্রিক লকডাউন চায় না কেন্দ্র, বিতর্ক উস্কে দিলেন নির্মলা

April 15, 2021 | 2 min read

পূর্ণাঙ্গ লকডাউন (Lock Down) হোক, এই সিদ্ধান্ত কোনও রাজ্যই চাইছে না। চায় না কেন্দ্রীয় সরকারও। মঙ্গলবারই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) জানিয়েছেন, সরকার এখনই সামগ্রিক লকডাউনের কথা ভাবছে না। যেভাবেই হোক এখনও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করেই করোনা মোকাবিলার কথা ভাবা হচ্ছে। এই মরিয়া মনোভাবের প্রধান কারণ, অর্থনীতিকে রক্ষা করা। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, বেঙ্গালুরু। প্রকৃতপক্ষে দেশের অর্থনীতির প্রধান চার ভরকেন্দ্রজুড়ে আবার করোনার আক্রমণ বেশি হওয়ায় অর্থনীতির উপর বড়সড় ধাক্কার আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক আঘাত এসেছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে। পরিযায়ী শ্রমিকরা দলে দলে ফিরতে শুরু করেছে। আর তার ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থার ইউনিট আবার বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। নতুন আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের শুরুতেই যদি আবার লকডাউন করে দিতে হয়, তাহলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে।

ব্রিটিশ আর্থিক সমীক্ষক সংস্থা বার্কলে বুধবার জানিয়েছে, ভারতে আবার যদি এপ্রিল মাসে লকডাউন হয়, তাহলে প্রত্যেক সপ্তাহে কয়েক হাজার কোটি টাকা করে আর্থিক ক্ষতি হবে। আর পুনরায় ২০২০ সালের ভয়াবহ স্মৃতি ফিরে আসবে। অর্থাৎ জিডিপি ধাক্কা খাবে। এই প্রথম এক বছর পর ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপির হার হওয়ার কথা ছিল অন্তত ৩ থেকে ৪ শতাংশ। অর্থাৎ নেগেটিভ থেকে বেরিয়ে এসে জিডিপি আবার পজিটিভ মাত্রায় প্রবেশ করবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে বিশ্বব্যাঙ্ক, কমবেশি প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি নতুন আর্থিক বছরে হতে চলেছে অন্তত ১০ শতাংশ। ঠিক এরকমই এক আশাব্যঞ্জক আবহে অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে জোর দিতে বাজেটে বিপুল অঙ্কের বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু আবার যদি লকডাউন হয় তাহলে পুনরায় গরিব কল্যাণ যোজনা জাতীয় প্রকল্পে বিপুল, অর্থবরাদ্দ করতে হবে। আর বাজেট প্রকল্প স্থগিত করে দিতে হবে। ঠিক যা গত আর্থিক বছরে হয়েছিল।

অর্থাৎ এবারও যদি লকডাউনের পথে হাঁটে সরকার, তাহলে ১০০ দিনের কাজ, গরিব কল্যাণ যোজনা এবং ব্যাঙ্ক ঋণের মাসিক কিস্তি স্থগিত জাতীয় পুরনো সিদ্ধান্তেই ফিরতে হবে কেন্দ্রকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই পথে যেতে নারাজ। বরং, সরকার চাইছে যত দ্রুত বেশি সংখ্যক ভ্যাকসিন প্রদান। সেই কারণেই আগামী এক মাসের মধ্যে একঝাঁক বিদেশি ভ্যাকসিনকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid19, #Lockdown, #Nirmala Sitharaman

আরো দেখুন