বিতর্কিত মন্তব্য এড়িয়ে চলুন, রাজ্য নেতাদের নির্দেশ বিজেপি নেতৃত্বের
বাংলার বাকি দফার প্রচারে বিতর্কিত মন্তব্য এড়িয়ে চলুন রাজ্যের নেতারা। এমনটাই চাইছে কেন্দ্রীয় বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। তারা মনে করছে, বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দলের প্রথম সারির কোনও নেতা যদি শাস্তির মুখে পড়েন, তাহলে তার প্রভাব পড়ছে বিজেপির প্রচারের উপর। এই ঘটনায় আদতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দলের ভাবমূর্তি। এদিকে শীতলকুচি নিয়ে মন্তব্যের জেরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) প্রচার ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করেছে কমিশন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। আর এক বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকেও এই ইস্যুতে শোকজ করেছে কমিশন।
এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই দলের বঙ্গ ব্রিগেডকে সুনির্দিষ্ট বার্তা দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমনটাই জানা যাচ্ছে দলের শীর্ষ সূত্রে। বিশেষ করে রাজ্যে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে যে কর্মী সম্মেলনগুলি চলছে, সেগুলিতেই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কর্মী-সমর্থক এবং নেতাদের উদ্দেশে এই বার্তা দিচ্ছেন বলে খবর। এবং সেইমতোই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হচ্ছে বিজেপির রাজ্য পার্টিকে।
সম্প্রতি কোচবিহারের শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) গুলি-কাণ্ডের পর রাজ্য বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপও নেয় নির্বাচন কমিশন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা এবারের বিধানসভা নির্বাচনে হাবড়ার প্রার্থী রাহুল সিনহার প্রচারের উপর ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। দলের অন্দরের খবর, গোটা ঘটনায় কিছুটা হলেও যে ব্যাকফুটে চলে যেতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে, তা কার্যত মেনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় পার্টি। আর তারপরেই এই ইস্যুতে দলগতভাবে ব্যবস্থা নিতে মরিয়া হয়েছেন বিজেপির দিল্লির নেতারা। বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব বিভিন্ন দলীয় প্রচারে কী বলছেন, তার উপর নজরদারিও চালানো হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় বিজেপি সূত্রের খবর।