আপনারাই পারেন বিজেপির হাত থেকে মা মাটি মানুষকে বাঁচাতে: হাবড়ায় মমতা
বাড়ছে করোনার প্রকোপ। এই আবহে আজ নির্বাচন কমিশন সর্বদল বৈঠক ডেকেছে। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হচ্ছে শেষ তিন দফার ভোট একদিনে করা হোক। এরই মধ্যে প্রচারে বেরিয়ে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নদিয়া জেলার নবদ্বীপে এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া, জগদ্দল এবং নোয়াপাড়ায় জনসভা তাঁর।
লাইভ আপডেট
২ঃ০৩ঃ বাংলাকে গুজরাট করতে দেব না। বাংলার মাকে আপনারা রক্ষা করুন। আপনারাই পারেন মা মাটি মানুষকে বাঁচাতে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোজ মিথ্যে কথা বলে। গ্যাসের দাম হাজার টাকা। এরপর করবে ৫ হাজার টাকা। ভোটের পর আবার বাড়বে। সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, ওদের কাছে শুধু মানুষের জীবনের দাম কম।
১ঃ৫৯ঃ আমরা অনুকূল ঠাকুরের নামে মধ্যমগ্রামে দশ একর জমি দিয়েছি। চাকলা কচুয়া ঢেলে সাজিয়েছি। আমরা ধর্ম মানি। কিন্তু অধর্ম না। ধর্ম যার যার আপনার উৎসব সবার।
১ঃ৫৬ঃ বারাসাতে, বনগাঁয় স্টেডিয়াম করে দেওয়া হয়েছে। একটা করে ভোট আর বিজেপি খেলার মাঠ থেকে আউট করে দিন। ওরা গুলিবাজ, ওরা দাঙ্গাবাজ। ওদের জবাব একটাই বাংলা থেকে চলে যাও। বাংলা শান্তিতে বাংলাতেই থাকবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।
১ঃ৫৪ঃ বিজেপি বলে বাংলার মেরুদন্ড ভেঙে দিতে হবে। সেই ক্ষমতা তোমাদের নেই। ছাত্র যৌবন এর জবাব দেবে। আমি একা কেন দেব?
১ঃ৫৩ঃ ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার জন্যে আমি ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড করে দেব। যাতে তারা নিজেরা নিজেদের পড়াশোনা করতে পারে। বাইরে থেকে পড়াশোনা করে এই বাংলাতেই ফিরে আসতে হবে।
১ঃ৫১ঃ আমি চাই মেয়েরা অনেক কাজ করুক। এখানে অনেক ক্লাস্টার আছে। ২৫ লক্ষ জুয়েলারি হাব হবে। জুট পার্ক, টেক্সটাইল হাব হবে। স্বনির্ভর দল তৈরি করব মাতৃ বন্দনার নামে। ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেব।
১ঃ৫০ঃ মা বোনেদের সবটাই দেখতে হয়। তারা নিজেদের দিকে ফিরে তাকানোর সময় হয় না। আগে মায়েরা লক্ষ্মীর ঝাঁপি করে জমাতেন। তাও নোটবন্দিতে চলে গেছে। আমরা মায়েদের একটা করে লক্ষ্মীর ঝাঁপি করে দেব। প্রতি মা বোনেরা মাসে মাসে ৫০০-১০০০ টাকা করে পাবেন।
১ঃ৪৮ঃ আপনার বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দেব। আপনাকে রেশন দোকানে যেতে হবে না। এক নায়ক বলে দুয়ারে রেশন ভাওতা। উনি কখনো মোটা চাল খেয়েছেন? কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর টাকা, সবুজসাথীর সাইকেল যদি পৌঁছতে পারলে রেশনও পৌঁছবে। ছেলেকে বাঁচাতে এখন এসব বলছে। আমায় আঘাত করলে আমি প্রত্যাঘাত করব।
১ঃ৪৪ঃ আমি মিথ্যে কথা বলতে পারি না। বিজেপি মিথ্যে কথা বলে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ট্যাবের টাকা, সবুজসাথীর সাইকেল সবাই পেয়েছেন। সরকারি স্কুলের সবাইকে আমরা ট্যাবের টাকা দিয়েছি। বিনে পয়সায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সবাই পেয়েছেন। ওই কার্ডের দাম ৫ লক্ষ টাকা। আপনাদের এক টাকাও দিতে হয়নি। আমরা পরিবারের মহিলার নামে করে দিয়েছি। তার বাপের বাড়িতে বাবা মা র চিকিৎসাও করাতে পারবেন। বিনে পয়সায় খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা দিয়েছি। স্কুলের বাচ্চাদের জুতো, ব্যাগ, বই, টেস্ট পেপার সব দিই। আমরা এলে সব ১৮ বছর বা তার বেশি বছরের বিধবারা মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন। বালু রেশনের বিষয়ে সব কিছু দেখে রাখে।
১ঃ৪২ঃ নরেন্দ্র মোদী বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী ঢোকাচ্ছে। এখন নিজেই বাংলাদেশে গিয়ে প্রচার করছে। এর আগে প্রতিবার আমাকে নিয়ে গেছে, এবার ডাকেনি। কারণ ভোটের খেলা খেলতে গেছে।
১ঃ৪০ঃ ৩০ বছর ধরে আমরাই বড়মার চিকিৎসা করেছি। কেউ দেখেনি। আমরা পিকে ঠাকুরের নামে কলেজ করেছি। হরিচাঁদ গুরুচাদের নামে বিশ্ববিদ্যালয় করছি। মতুয়া বোর্ড করেছি। বিজেপি বলছে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেব। মতুয়ারা সবাই নাগরিক।
১ঃ৩৮ঃ ভোট দেওয়ার পর মাস্ক পরে যাবেন। প্রত্যেকে নিজের ভোট দেবেন। ভোটের লিস্টে নাম না থাকলে ওরা আসামের ১৪ লক্ষ বাঙালির মতো আপনাকেও পাঠিয়ে দেবে ডিটেনশান ক্যাম্পে। অসমে ভোট মিটতেই আবার ডিটেনশান ক্যাম্পের নোটিস আসতে শুরু হয়েছে। আমি এই রাজ্যে এনআরসি হতে দেব না। কিন্তু তার জন্যে আপনার নাম থাকতে হবে ভোটার লিস্টে। এখনো এরা এনপিআর আর এনআরসি প্রত্যাহার করেনি।
১ঃ৩৬ঃ বাংলায় এখনও কম আছে। কিন্তু কতদিন ঠেকিয়ে রাখব? বাইরে থেকে লোক এনে ভোটের প্রচার করছে। পিএম বললে কেউ টেস্ট করে না। বাইরে থেকে লোক কোভিড নিয়ে আসছে। প্রত্যেকের কোভিড টেস্ট হওয়া বাধ্যতামূলক হওয়া উচিৎ। এরা ছড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যাবে। আমাদের সামলাতে হবে পরে।
১ঃ৩৪ঃ কৃষকদের জন্যে কৃষকবন্ধু প্রকল্প করেছি। আমরা ক্ষমতায় এলে কৃষকদের টাকা ৫ হাজার থেকে বেড়ে ১০ হাজার হবে। প্রান্তিক চাষীরা ৫ হাজার টাকা করে পাবে। মৎস্যজীবি, স্বনির্ভর গ্রুপ, বাংলার হাট সবার জন্যে কাজ করেছি। গত ৬ মাস কোভিড ছিল না। তখন আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম আমাদের ভ্যাকসিন দিন। আমি টাকা দিয়ে কিনে বিনে পয়সায় রাজ্যবাসীকে দেব। নরেন্দ্র মোদী এই নিয়েও রাজনীতি করছে।
১ঃ৩২ঃ অশোকনগরের খাদি সেন্ট্রাল অফ এক্সিলেন্স হয়েছে। অনেকে কাজ পেয়েছে। হাবড়া, অশোকনগর বিধানসভায় অনেক উদবাস্তু কলোনি আছে। আমরা সবাইকে নিঃশর্ত জমির দলিল দিচ্ছি। সবাই নাগরিক।
১ঃ২৯ঃ ভোটের জন্যে আড়াই তিন বছর কাজই করা যায়নি। মাত্র পাঁচ ছ বছর কাজের সময় পেয়েছি। এর মধ্যে আমরা অনেক কাজ করেছি। একটি রাজনৈতিক দল কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। সে সেই কাজ করতে পেরেছে কী না তার ওপর নির্ভর করে ভোট হয়। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী অনেক কাজ হয়েছে। হাবড়ায় মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়েছে। শিল্পের ক্ষেত্রে হাবড়া এবং অশোকনগর নতুন দিশা দেখাছে। হাবড়ায় টেক্ট টাইল হাব হচ্ছে। অশোকনগরে ওএনজিসির কাজ হচ্ছে। পাওয়ারলুম হাবে ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।