ভ্যাকসিন নিলেন অনুব্রত মণ্ডল
শুক্রবার দুপুরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের নতুন স্টোর বিল্ডিংয়ে করোনা ভ্যাকসিন (Vaccine) নিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। টিকা নিয়ে বেরিয়ে আসার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নিলাম, কিন্তু বুঝতেই পারলাম না। অনুব্রতবাবু বলেন, লম্বা ভোট পর্ব। এরজন্যই করোনা বেড়েই চলেছে বাংলায়। করোনার বাড়বাড়ন্ত না থাকলে আট দফা ভোট হলে কোনও অসুবিধা থাকত না। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করে বলেন, বয়স অনুযায়ী সব মানুষকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য বলব। তাহলে আর বিপদ হবে না।
এদিকে এদিন সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল (Trinamool) প্রার্থী নীলাবতী সাহার সমর্থনে দু’টি জনসভা করেন অনুব্রতবাবু। প্রথম সভাটি সাঁইথিয়ার বাগডাঙায় এবং দ্বিতীয়টি দেরপুর ফুলবাগান মাঠে হয়। করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি একহাত নেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি। অনুব্রতবাবু বলেন, দিল্লিতে করোনায় ছেয়ে গিয়েছে। আপনি বাংলায় এসে মঞ্চে কাউকে উঠতে দেন না। এদিনের দুই সভাতেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। অনুব্রতবাবু বক্তব্য রাখতে উঠতেই শুরু হয় ‘খেলা হবে’ স্লোগান। মহিলারা বক্তব্যের মাঝে হাততালি এবং উলুধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানান। তৃণমূল সরকারের গত দশ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান অনুব্রতবাবু তুলে ধরতেই চিৎকার করে মহিলারা বলেন, ‘দিদিকেই চাই’।
এদিনই নির্বাচন কমিশনের কাছে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ব্যান করার দাবি জানালেন বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী বলেন,অনুব্রত মণ্ডলকে শুধুমাত্র একদিনের জন্য শোকজ বা সাসপেন্ড নয়, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ব্যান করে দেওয়া উচিত। কারণ, যেভাবে তিনি অকথা-কুকথা বলছেন, তাতে তিনি ভোট চাওয়ারও যোগ্য নন।
যদিও অনুব্রতবাবু বলেন, উনি দিল্লি থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। ওঁর গুরুত্বহীন কথায় কিছু এসে যায় না।