শীতলকুচিতে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানোর দাবি মিথ্যে: এপিডিআর
নির্বাচনের দিন কোচবিহারের শীতলকুচির (Sitalkuchi) গুলিকাণ্ডের তদন্তভার সিআইডি গ্রহণ করেছে। কোচবিহার জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে তাদের সেই তদন্তভার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা শীতলকুচির আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের ১২৬ নম্বর বুথে যে গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছিল, তার তদন্ত করবে। এদিকে, বৃহস্পতিবার গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির (এপিডিআর) পক্ষ থেকে ১১ সদস্যের একটি দল শীতলকুচির আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের ১২৬ নম্বর ও পাঠানটুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৮৫ নম্বর বুথে যায়। স্থানীয় গ্রামবাসী, নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দলের প্রতিনিধিরা কথা বলেন। সেখান থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে শুক্রবার কোচবিহার প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেখানে ১২৬ নম্বর বুথের বিষয়ে ন’টি ও ২৮৫ বুথের বিষয়ে দু’টি তথ্য তাঁরা তুলে ধরেন।
এপিডিআর-এর (APDR) সহ সম্পাদক আলতাফ আমেদ বলেন, আমরা শীতলকুচির ঘটনার বিষয়ে তথ্যানুসন্ধানে গিয়েছিলাম। দু’টি ঘটনার মধ্যে দূরত্ব কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার। একটি ঘটনার সঙ্গে অন্য ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। বুথ থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে ১৪ বছরের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে ক্যুইক রেসপন্স টিম মারধর করে। সেই সময় গ্রামবাসীরা উত্তেজিত ও বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। কিন্তু সেই বিক্ষোভ কোনওমতেই ১২৬ নম্বর বুথের কাছাকাছি, ১০০ মিটারের মধ্যে পৌঁছয়নি। ঘটনার সার্বিক বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে দোষী জওয়ানদের শাস্তি দিতে হবে। একইসঙ্গে ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন সরাসরি এই ঘটনার তদন্ত করুক। নিহতদের পরিবারকে ন্যূনতম ২০ লক্ষ ও আহতদের পাঁচ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হোক। আলতাফ বলেন, শুনছি যে, ক্যুইক রেসপন্স টিমের আত্মরক্ষার জন্য তারা গুলি চালিয়েছিল, এমন কোনও তথ্য-প্রমাণ, সাক্ষ্য আমরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনায় পাইনি। গুলি চালনার ক্ষেত্রে স্যান্ডার অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি) মানা হয় নি। ফলে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানোর দাবি মিথ্যে।