সাবধান! বেহাত হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ তথ্য
ফের প্রশ্নের মুখে হোয়াটসঅ্যাপের (Whatsapp) সার্বিক নিরাপত্তা। অনলাইনে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ‘হোয়াটসঅ্যাপ অনলাইন স্ট্যাটাস ট্র্যাকার’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই মেসেজিং অ্যাপের ব্যবহারকারীদের গতিবিধি এবং ব্যক্তিগত তথ্য সহজেই চলে যাচ্ছে অসাধু ব্যক্তিদের হাতে। এক্ষেত্রে মহিলাদেরই সবচেয়ে বেশি করে নিশানা করা হচ্ছে। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে এই বিষয়ে সাবধান করেছে মোবাইল সিকিউরিটি অ্যাপ ‘ট্রেসড’। তাঁরা জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর লাইভ লোকেশনের পাশাপাশি তিনি কখন, কাকে, কী মেসেজ পাঠাচ্ছেন, সেটাও ‘স্টকার’ বা অনলাইন নজরদারদের হাতে চলে যাচ্ছে। বিবৃতিতে সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ‘সাইবার-স্টকাররা সবসময় তাদের শিকারদের সম্পর্কে যত বেশি সম্ভব তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করে। ওই ব্যক্তি কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে দেখা করছেন, কী কথা বলছেন, অনলাইনে কী সার্চ করছেন— সবটাই তাদের নখদর্পণে রাখতে হয়। কিন্তু, কোনও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি যদি কারও সম্পর্কে এত খুঁটিনাটি তথ্য জেনে ফেলেছে তবে তা যেমন বিপজ্জনক তেমনই অনৈতিকও।’
হোয়াটসঅ্যাপে যখন কেউ অনলাইন হন, তখন তাঁর প্রোফাইলে ‘অনলাইন’ লেখাটি ফুটে ওঠে। যে কেউ সেটা দেখতে পান। এমনকী যিনি কন্ট্যাক্ট লিস্টে নেই, তিনিও ওই ব্যক্তির প্রোফাইলে ঢুকে অনলাইন রয়েছেন কি না দেখতে পারেন। এটা না হয় হোয়াটসঅ্যাপের নিজস্ব ফিচার। কিন্তু, ওই অনলাইন হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস ট্র্যাকারগুলির মাধ্যমে সর্বক্ষণ কোনও নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টের উপর নজরদারি চালানো যায়। ওই ব্যক্তি কখন অনলাইন বা অফলাইন হচ্ছেন সেটা যেমন জানা যায়, তেমনই আরও গভীরে গিয়ে তাঁর চ্যাট এবং কন্ট্যাক্ট লিস্টও পড়ে ফেলা যায়। ফলে ইচ্ছা করলে যে কেউ এটিকে ব্যক্তিগত নজরদারির কাজেও ব্যবহার করতে পারেন।
কীভাবে কাজ করে এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি? ট্রেসড-এর সিটিও ম্যাট ব্রডি জানিয়েছেন, যে ব্যক্তির উপর নজরদারি চালাতে চান, শুধু তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি ওই ওয়েবসাইটে দিয়ে দিলেই হবে। তাহলেই ওই ব্যক্তি কখন অনলাইন ছিলেন এবং কতক্ষণের জন্য ছিলেন, জানা যাবে। তবে, গ্রাহকের গোপনীয়তার কথা মাথায় রেখে ওই সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস ট্র্যাকার অ্যাপ্লিকেশনগুলির নাম উল্লেখ করেননি ম্যাট। তাঁর দাবি, এমনটা করলে ওই ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলি প্রচার পেয়ে যাবে। অন্যদিকে এইধরনের অ্যাপগুলির হাতেগরম তালিকা পেয়ে যাবে অসাধু ব্যক্তিরাও। আপাতত তাঁরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এবং বিষয়টি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্যই এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছেন ম্যাট।