করোনায় মৃত্যুর তথ্য গোপনের অভিযোগ গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে
গুজরাটের করোনা (Covid 19) পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এরইমধ্যে গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে করোনা সংক্রান্ত তথ্য আড়ালের অভিযোগ উঠেছে। করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে গুজরাট হাইকোর্ট সরকারকে স্বচ্ছতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখনো চেপে যাচ্ছে গুজরাট সরকার।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে। যাতে গুজরাট সরকারের কার্যকলাপ বাকরুদ্ধ করেছে পুরো দেশকে।
রুপাল ঠাক্কার বলে ৪৮ বছর বয়সী এক মহিলা করোনা আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই গুজরাটের এক নামী হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর সেখানে তার মৃত্যু হয়। কিন্তু ডেথ সার্টিফিকেটে হাসপাতালের তরফ থেকে লেখা হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
গুজরাটে (Gujarat) এরকম বহু ঘটনা ঘটছে, যেখানে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে সার্টিফিকেটে অন্যকিছু লেখা হচ্ছে।
লাশকাটা ঘরে কর্মরত এক কর্মী এ বিষয়ে বলেন, ‘১৬ এপ্রিল সরকারি বুলেটিনে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দেখানো হয়েছিল ৭৮। কিন্তু ওইদিন বিভিন্ন শ্মশানে বা কবরস্থানে প্রায় ৬৮৯ টি মৃতদেহ আনা হয়েছিল। আমেদাবাদের কোভিড হাসপাতাল থেকেও ২০০ টি মৃতদেহ সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’ একইভাবে সুরাটের হাসপাতাল থেকেও ১৯০ টি লাশ সরানো হয়েছে। গুরু গোবিন্দ সিং হাসপাতাল থেকেও রোজ প্রায় ১ ডজন করে মৃতদেহ সরানো হচ্ছে।
রুপাল ঠাক্কারের মতোই আরও এক ৫৮ বছর বয়সী বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রেও মৃত্যুর জন্যে কিডনীকে দায়ী করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মহামারীর এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে গুজরাটে মৃত্যুর দুরকমের তথ্য সামনে আসছে। একটি সরকারের পক্ষ থেকে, অপরটি শ্মশান বা কবরস্থান থেকে। এই দুই সূত্রের মৃত্যুর সংখ্যায় কোন মিল পাওয়া যাচ্ছে না।
মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানির মতে আইসিএমআর গাইডলাইন মেনেই মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। যেসব মৃত্যুতে মূল কারণ করোনা ভাইরাস তাদেরই একমাত্র করোনায় মৃত্যু ধরা হচ্ছে।
১৮ এপ্রিল সরকারি রিপোর্টে ১১০ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়। কিন্তু আদতে আমেদাবাদ, সুরাট, রাজকোট, ভাদোদারা মিলিয়ে মোট ৫০০ জন মারা যাওয়ার খবর সামনে আসে।