কার্বলিক অ্যাসিডের ভয়ে পালিয়েছে ‘জাত গোখরো’, কাটোয়ায় মিঠুনকে ঘিরে কটাক্ষ
কাটোয়া শহরের মা-বোনেরা কার্বলিক অ্যাসিড ছড়িয়ে রেখেছেন। তাই সেই কার্বলিক আ্যসিডের গন্ধে শহরে ঢুকতে পারেনি জাত গোখরো। পালিয়েছে। কাটোয়ায় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শো নিয়ে এমনই কটাক্ষ চলছে সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে। এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। আসরে নেমেছে তৃণমূলও।
অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) একটি সিনেমার ডায়ালগ রয়েছে, ‘আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি’। এই ডায়ালগ নিয়েই এবার সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে ওয়ালে নানা কাটক্ষের পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। কোথাও লেখা রয়েছে, কার্বলিক আ্যসিডের গন্ধে জাত গোখরো, শহরে না ঢুকে রোড শোয়ের মাঝপথ থেকেই পালিয়ে গেল। অনেকে পোস্ট করেছেন ‘ছোবল মারতে পারল না জাত গোখরো।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কাটোয়ায় বিজেপি প্রার্থীর হয়ে রোড শো করার কথা ছিল মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর। কাটোয়া আরএমসি মার্কেট থেকে এই রোড শো কাটোয়া শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেইমতো সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হেলিকপ্টারে কাটোয়ায় নামেন মিঠুন। এরপর আরএমসির সামনে থেকে শুরু হয় রোড শো। প্রচুর বিজেপি কর্মী-সমর্থক বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহযোগে হাজির হয়েছিলেন মিঠুনের গাড়ির সামনে। গাড়ির উপরে তারকা অভিনেতার সঙ্গে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী শ্যামা মজুমদার। এভাবে কাটোয়া শহরের দিকে এগচ্ছিল র্যালি। অনেকেই আশা করেছিলেন কাটোয়া শহরের বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে মিঠুনের রোড শো যাবে। সেই মতো সকাল থেকেই শহরের রাস্তার ধারে ধারে ভিড় জমিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ। কিন্তু শহরের ভিতরে ঢোকার আগেই দাঁড়িয়ে যায় মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শোয়ের গাড়ি। এরপরই দেখা যায় গাড়ি থেকে নেমে মিঠুন হেলিকপ্টারের দিকে চলে যান। তারপরেই হতাশ হন শহরের মানুষ। দীর্ঘক্ষণ শুধু অভিনেতাকে দেখবেন বলে অপেক্ষা করছিলেন শহরের বাসিন্দারা। কিন্তু মিঠুন শহরে না ঢোকায় ক্ষুব্ধ তাঁরা।
এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে শুরু হয় মিঠুন চক্রবর্তীর সেই বিখ্যাত ডায়ালগ নিয়ে বিভিন্ন মিম। তৃণমূল কর্মীরাও কটাক্ষের ঝড় তোলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ পোস্ট করে লেখেন, কাটোয়ার মা-বোনেরা কার্বলিক অ্যাসিড রাখায় জাত গোখরো শহর থেকে উধাও। আবার কোনও পোস্টে লেখা, কার্বলিক আ্যসিডের গন্ধে জাত গোখরো পালিয়েছে। কাটোয়া শহরের যুব তৃনমূলের সভাপতি রণদীপ ঘোষ বলেন, বিভিন্ন সভায় বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী নিজেকে জাত গোখরো হিসেবে পরিচিতি দিচ্ছেন। সেই কারণেই তৃণমূলের কর্মীরা এই ধরনের পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি বলেন, জাত গোখরো কাটোয়ায় আসছে খবর পেয়ে শহরের মানুষ কার্বলিক অ্যাসিড বিভিন্ন জায়গায় আগে থেকেই ছড়িয়ে রেখেছিলেন। সেই গন্ধেই গোখরো শহরের ভিতরে ঢুকতে পারেনি।
যদিও তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবে ট্রোল চলায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব। কাটোয়া শহর বিজেপির নগর সভাপতি অনুপ বসু বলেন, এই সমস্ত নোংরা পোস্ট তৃণমূলের কর্মীরা করেছে। মিঠুন চক্রবর্তী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলেই তাঁকে মাঝরাস্তা থেকে ফিরে যেতে হয়। আর সেটা নিয়ে তৃণমূল নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে। এটা কখনওই কাম্য নয়।