দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

রানাঘাটে ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় ৯ বছরের বালককে মারধর বিজেপি কর্মীর

April 20, 2021 | 2 min read

ন’বছরের বালককে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বলেছিল বিজেপি কর্মী। বালক তা না বলায় বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে শান্তিপুর থানার ফুলিয়ার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জখম ওই বালক বর্তমানে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রতিবাদে এদিন দুপুরে ফুলিয়া পাড়া এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে জাতীয় সড়ক বেশ কিছু সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মহাদেব প্রামাণিক পলাতক। পুলিস জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ভোট পরবর্তী এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

আক্রান্ত বালক ফুলিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে তার মায়ের মৃত্যু হয়। বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রতিবেশীদের সাহায্যেই তার দিন চলে। এদিন দুপুরে ওই বালক অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীর চায়ের দোকানে গিয়েছিল। তখন ওই বিজেপি কর্মী তাকে জয় শ্রীরাম বলতে বলে। স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু কুণ্ডু বলেন, অসহায় ওই বালক সকাল-সন্ধ্যা এলাকাতেই ঘুরে বেড়ায়। স্থানীয়রাই তার দেখভাল করে। চায়ের দোকানে থাকা বিজেপি কর্মী মহাদেব ওকে জয় শ্রীরাম বলতে চাপ দেয়। কিন্তু ছেলেটি তা না বলায় ব্যাপক মারধর করা হয়। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই ধরনের ঘটনা কখনোই কাম্য নয়।জখম বালককে স্থানীয়রাই প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন তৃণমূলের যুবনেতা শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিজেপির হিংসার হাত থেকে রেহাই পায়নি ছোট্ট ছেলেটি। জয় শ্রীরাম না বলার কারণে যে এভাবে মারধর করা হবে তা ভাবাই যায় না। ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়দের একাংশ। তাঁরা বলেন, অভিযুক্তের মারে জ্ঞান হারিয়েছে ছেলেটি। অকারণে বালককে মারধর করার ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছি না। প্রতিবাদে অরাজনৈতিকভাবে আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষ পথ অবরোধের শামিল হয়েছি। ওই বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। এদিকে বিজেপির নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার এসসি মোর্চা সাধারণ সম্পাদক অঙ্কন সরকার বলেন, ঘটনাকে কোনওভাবেই সমর্থন করি না। তবে অভিযুক্ত আমাদের দলের কোনও নেতা বা কর্মী নন। অভিযুক্তের স্ত্রী মিঠু প্রামাণিক বিজেপির ২৯ নম্বর মহিলা মোর্চার সভাপতি। তিনি বলেন, এদিন দুপুরে স্বামী বাড়ি এসে জানায়, ওই ছেলেটি দোকানে গিয়ে জয় বাংলা বলতে বলেছিল। এরপরই সে দোকান লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছুড়তে থাকে। তখন স্বামী ছেলেটিকে একটি চড় মারে। তারপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#ranaghat, #jai sriram, #fulia, #boy, #assault, #West Bengal

আরো দেখুন