করোনা অতিমারীর এই ব্যাপকতার জন্যে দায়ী বিজেপির অদূরদর্শীতা: তৃণমূল
করোনা অতিমারীর এই ব্যাপক সংক্রমণের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর বিভ্রান্তিমূলক সিদ্ধান্তকেই দায়ী করল তৃণমূল (Trinamool)।
গতকালের প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণ প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে কটাক্ষ করে রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন বলেন, ‘ফাঁকা কলসী আওয়াজ বেশি।’
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন এবং ডাঃ শান্তনু সেন।
অতিমারী সংক্রমণ প্রসঙ্গে ডাঃ শান্তনু সেন বলেন, ‘নমস্তে ট্রাম্প অনুষ্ঠান করার জন্যে এবং মধ্যপ্রদেশে সরকার গঠনের জন্যে কেরলে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়ার পরেও প্রধানমন্ত্রী যেভাবে গোটা দেশে সবকিছু খোলা রেখেছিলেন তার ফলেই আজ দেশে করোনার এই ব্যাপকতা।’
সাংসদ বলেন, ‘বিজেপির রেজলিউশানে বিজেপি বলেছে আমরা কোরোনাকে শুধু হারাইনি, বরং বিশ্বকেও এর সাথে লড়তে সাহায্য করেছি। এতে বিজেপির (BJP) অদূরদর্শিতা প্রমাণিত হয়।’
লকডাউনের (Lockdown) বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর দ্বিচারিতার সমালোচনা করেন ডাক্তার বাবু। তিনি বলেন, ‘এর আগে দেশে আকস্মিক লকডাউন করে তিনি বলেছিলেন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ ১৮ দিনে জয় হয়েছিল আমরা ২১ দিনের লকডাউন করে করোনাকে জয় করব। গতকালের ভাষণে নিজেই বলছেন রাজ্যগুলিকে লকডাউন না করতে। আমরা মনে করি এটা ওনার ভুলের স্বীকারোক্তি।’
রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির জন্যে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জনসভার জনসমাগমকে অনেকাংশে দায়ী করলেন সাংসদ শান্তনু সেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিয়ে এই অবধি মাসে ৪৭ টি সভা করেছেন। ১ লা এপ্রিল রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৫১৩। ১৯ শে এপ্রিল সেই সংখ্যা ৫৩৫১৮।’
তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘বিশ্বের মোট ভ্যাক্সিনের ৬০% উৎপাদন হয় আমাদের দেশে। কিন্তু আমাদেরই এখন ভ্যাক্সিনের অভাব। এ অনেকটা যে রান্না করে সেই খেতে পায় না – র মতো। যেখানে দিনে ৪ মিলিয়ন ভ্যাক্সিন উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা ছিল, সেখানে মাসে মাত্র ৬৫ মিলিয়ন ভ্যাক্সিন উৎপন্ন হচ্ছে।’
সাংসদ আরও বলেন, ‘ভ্যাক্সিন, অক্সিজেন বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেশের মানুষ পাচ্ছে না। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চোখ রাঙানিতে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইনিন আমেরিকায় পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের লোক পাননি।’