করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা হোয়াটসঅ্যাপে জানান পুরসভাকে
লাগামছাড়া সংক্রমণ। শহর তথা রাজ্যজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। সেই অবস্থায় নতুন করে খুলছে সেফ হোম, হাসপাতালে বাড়ছে শয্যা সংখ্যা। রাজ্যবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে করোনা বিধি (Corona Protocol) মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই অবস্থায় রোগীর চাপ সামলাতে এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যদপ্তর ও কলকাতা পুরসভা যৌথ উদ্যোগে সব মিলিয়ে আটটি হেল্পলাইন নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর প্রকাশ করল।
পুরসভার ফেসবুক পেজে ইতিমধ্যেই হেল্প লাইন নম্বর (Help Line Number) দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শহরজুড়ে সেই নম্বরের তালিকা সম্বলিত বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। টেলি-মেডিসিন পরিষেবা পেতে নাগরিকেরা যোগাযোগ করবেন (০৩৩) ২৩৫৭-৬০০১ নম্বরে। পাশাপাশি যে কোনও প্রয়োজনে পুরসভার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেও (Whatsapp) (৮৩৩৫৯৮৮৮৮৮) যোগাযোগ করা যেতে পারে।
অন্যদিকে, বুধবার সকালে প্রচার শুরুর আগে নিজের বিধানসভা এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তায় দোকানদার, স্থানীয় বাসিন্দা এবং পথচলতি মানুষের কাছে মাস্ক বিলি করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা বন্দর এলাকার তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, ভোট চাইব কাদের কাছে? আগে তো মানুষ। আগে জীবন বাঁচুক। তাই প্রচার প্রচারের মতো চলছে। কিন্তু তার থেকেও করোনাকে মোকাবিলা জরুরি। তাই যেখানেই যাচ্ছি, মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। মাস্ক বিলি করছি। বিজেপিকে এক হাত নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপি ঠান্ডা ঘরে বসে আইটি সেলকে দিয়ে ‘ফেক নিউজ’ তৈরি করতে ব্যস্ত। কলকাতার বিপদের দিনে মানুষের পাশে আমাদেরই দেখা যায়।
পাশাপাশি, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা ছ’টি সেফ হোম এবং দু’টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও বেসরকারি হোটেল এবং নির্মীয়মাণ বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি আবাসনের উপর নজর রয়েছে পুর কর্তৃপক্ষের। স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তা বলেন, দেশের অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহরের মতো না হলেও কলকাতা তথা রাজ্যে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তা চিন্তার বিষয়। সেক্ষেত্রে সেফ হোম ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে