দু’বারই করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ কেন্দ্র, আক্রমণ প্রশান্ত কিশোরের
করোনা পরিস্থিতি সামলানোয় ব্যর্থতা এবং দূরদর্শিতার অভাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) আগেই বিঁধেছিলেন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। আরও একবার প্রধানমন্ত্রীর দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে। হাসপাতালে বেডের অভাব এবং ওষুধপত্রের সংকট নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করলেন পিকে। দাবি করলেন, করোনার প্রথম ধাক্কাও সঠিকভাবে সামলাতে পারেনি কেন্দ্র। দ্বিতীয় ধাক্কাতেও একই অবস্থা। দুই ক্ষেত্রেই সরকারের অদূরদর্শিতা এবং অব্যবস্থা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
চারিদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক। তার সঙ্গে উদ্বেগ বাড়িয়েছে অক্সিজেনের ঘাটতি। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হচ্ছে বহু মানুষের। মিলছে না ভ্যাকসিনও। প্রশান্ত কিশোরের দাবি, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে শুধু মোদি সরকারের অদূরদর্শিতার জেরেই। তিনি বলছেন,”করোনা সমস্যার সঠিকভাবে মোকাবিলা করা হয়নি। প্রথম ঢেউয়ের সময় হঠকারী এবং বাজেভাবে কার্যকর হওয়া লকডাউনে এই ভাইরাসের সংক্রমণের থেকে বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। আর দ্বিতীয় ধাক্কায় অক্সিজেন, ওষুধ এবং হাসপাতালের বেডের অভাবে করোনার থেকে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন। আর এই দুই ঘটনার জন্য দায়ী একটি বিষয়ই। সেটা হল সরকারের অদূরদর্শিতা এবং অব্যবস্থা।” এই নিয়ে পরপর তিনদিন করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ভারতের অসহায়তা নিয়ে সরব হলেন তৃণমূলের (TMC) রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। বাংলার ভোট চলাকালীন যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
একটা সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও কাজ করেছেন পিকে। বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিইউয়ের (JDU) সহ-সভাপতিও ছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই কেন্দ্র তথা প্রধানমন্ত্রীর সমালোচকদের খাতায় নাম লিখিয়েছেন এই ভোটকুশলী। বিভিন্ন সময় একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। বিশেষ করে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে যোগ দেওয়ার পর সেই সুর আরও চড়ছে। এই মুহূর্তে মোদি সরকারের প্রখর সমালোচকদের মধ্যে পিকে একজন।