বাঁকুড়ায় করোনাসুর, সচেতনতা বাড়াতে অভিনব প্রচার প্রশাসনের
হাঃ হাঃ হাঃ…আমি করোনাআআআআআ…।রবিবারের সকালে এই শব্দে কেঁপে উঠলো বাঁকুড়ার কোতুলপুর। সবাই চমকে গেলেন। অট্টহাসি করছে করোনাসুর।
রাজ্য তথা বাঁকুড়া জেলা জুড়েও আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহারের কথা বলছেন চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞ সকলেই। তারপরেও ‘হুঁশ’ ফেরেনি এক শ্রেণীর সবজান্তা পাবলিকের। আর সেই সবজান্তাদের সচেতন করতেই করোনার মডেলকে সঙ্গে নিয়ে পথে নেমেছিল পুলিশ। মাস্কবিহীন পথ চলতি মানুষের হাতে পুলিশের পক্ষ থেকে মাস্ক তুলে দেওয়া হয়।
করোনাসুরের গগনভেদী চিৎকারে সবাই হকচকিয়ে গেলেন। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এই মডেল ভয় ছড়ানোর জন্য নয়। সচেতন করার জন্য। করোনা থেকে বাঁচতে নিয়ম মানতেই হবে।
শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী এখনো পর্যন্ত নতুন করে ১৭৩ জন ১৩ হাজার ৭৯৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ হাজার ৭১১ জন। নতুন করে একজনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৪। চিকিৎসাধীন আছেন ৯৯১ জন।
এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে করোনার সংক্রমণ কতটা বিপজ্জনক নিয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে নির্বাচন কমিশন সব রাজনৈতিক প্রচার ও জমায়েতের উপর নতুন নিয়ম আরোপ করেছে। সংক্রমণ যেমন বাড়ছে তেমনই রয়েছে অক্সিজেন সংকট। করোনা থেকে দূরে থাকতে মাস্ক জরুরি। সেই জন্য করোনাসুর নেমেছে পথে।
বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এই জনসচেতনতামূলক প্রচার অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি (ট্রাফিক), বিষ্ণুপুরের এসডিপিও, কোতুলপুর থানার ওসি, স্থানীয় বিডিও, বিএমওএইচ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, এখনো অনেকেই মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোচ্ছেন, যা কাম্য নয়। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যেই করোনার মডেল তৈরী করে এই প্রচারাভিযান চলছে বলে তিনি জানান।