রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

দিলীপ, মিঠুনের পর কমিশনের বিধি না মেনে সভা লকেটের

April 26, 2021 | 2 min read

মিঠুন চক্রবর্তীর পর এবার লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তাঁর সভা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) বিধি (Protocol) অমান্য করেই এই বিজেপি এমপির সভায় ব্যাপক ভিড় হয়েছিল। মালদহে যখন করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, তখন বিজেপি (BJP) নেতানেত্রীদের একের পর এক এ ধরনের সভা নিয়ে ক্ষুব্ধ আমজনতা।  

অভিযোগ, রবিবার মানিকচকে অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সভায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানা হয়নি। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, শনিবার মিঠুন চক্রবর্তী কমিশনের বিধির তোয়াক্কা না করেই নির্বাচনী প্রচারসভা করেন। কমিশন হস্তক্ষেপ করায় মাঝপথে সেই সভা বন্ধ করে দিতে হয় বিজেপিকে। তার পরও শিক্ষা নেয়নি গেরুয়া শিবির। লকেটের সভা নিয়েও জেলা নির্বাচন দপ্তরে তৃণমূল অভিযোগ জানাতে চলেছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।

তবে, এদিনের সভায় সশরীরে হাজির হননি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।  জেলা বিজেপি নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, পুরোপুরি করোনা বিধি মেনেই সভা হয়েছে একইসঙ্গে তাদের পাল্টা অভিযোগ, মানিকচকের গোপালপুরে বিজেপির একটি নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। এদিকে, এদিন হবিবপুরে বিজেপির বিরুদ্ধে যুব তৃণমূল এবং সুজাপুরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। 

মানিকচক শিক্ষা নিকেতনের মাঠে রবিবার জনসভা করেন লকেট। সভায় হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল, মানিকচকের বিজেপি প্রার্থী গৌরচন্দ্র মণ্ডল প্রমুখ। জেলা তৃণমূলের অন্যতম কোঅর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা বলেন, আমাদের স্থানীয় সমর্থকরা জানিয়েছেন, হাজার খানেকেরও বেশি পুরুষ ও মহিলা বিজেপির ওই সভায় হাজির ছিলেন। জেলায় যখন করোনা পরিস্থিতি চরম উদ্বেগজনক, তখন এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছি।

তবে বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট লোক নিয়েই এই সভা হয়েছে। কিছুদিন আগেও তৃণমূল দাবি করত, বিজেপির সভায় লোক হচ্ছে না। এখন তারাই আমাদের সভায় লোক খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমরা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবেই কাজ করছি। মানিকচকের গোপালপুরের বালুটলায় বিজেপির একটি নির্বাচনী কার্যালয় শনিবার রাতে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে।

উল্টোদিকে সুজাপুরের কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরীর অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নির্বাচনের পরে মহিলাদের ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এমনকী তাঁদের আধার কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, এটি পুরোপুরি নির্বাচন বিধিভঙ্গের শামিল। আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে মহিলাদের হাতে অর্থ দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি ইস্তাহারে বলেছে, সেই বিষয়টি ভোটারদের জানানো হয়েছে। এর অপব্যাখ্যা করছে কংগ্রেস।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Rally, #Election Commision of India, #Locket Chatterjee

আরো দেখুন