গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ ব্রাত্য বসুর
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2020/06/Bratya-Basu.jpg)
হাজার টাকার গ্যাস (Gas) কিনে বিনা পয়সার চাল রান্না করতে হচ্ছে। এই হচ্ছে দিদি আর মোদির পার্থক্য। রবিবার ভরতপুর বিধানসভার উজুনিয়া গ্রামে নির্বাচনী জনসভা করতে এসে সালারে এভাবেই বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করেন তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু। এদিন ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) সমর্থনে জনসভায় ব্রাত্যবাবু (Bratya Basu) ছাড়াও অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী (Sohom Chakraborty) ও প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবীর ছিলেন। এদিন বড়ঞায় বিজেপির সভায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda) আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।এদিন বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ করোনা বিধি মেনে সভা শুরু হয়। ব্রাত্যবাবু বলেন, বাংলার তৃণমূল সরকার ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মধ্যে পার্থক্যটা আপনাদের বুঝতে হবে। আমাদের নেত্রী জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অসংখ্য জনমুখী প্রকল্প এনে মানুষের সেবা করছেন। দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তাই আপনাদেরও দিদির পাশে থাকা দরকার। মোদি ব্যঙ্গের সুরে দিদি বলে ডাকছেন। আমরা ওঁকে ছেড়ে কথা বলব না। ইতিমধ্যে গোটা দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছে। দেশের সবকিছু বেচে দিচ্ছে মোদি সরকার। আমাদের প্রতিবাদ করতেই হবে। মুর্শিদাবাদে আমরা ২২টি আসনেই জয়ী হব। সভায় হুমায়ুন সাহেব বলেন, আমি এই জেলার পুলিস সুপার ছিলাম। কিন্তু এই এলাকায় কোনওদিন কোনও অশান্তি হয়নি। কিন্তু এখন একটি সাম্প্রদায়িক দল উস্কানি দিয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। সোহম বলেন, আগে আমরা জানতাম কেন্দ্রের হাতে ইডি, সিবিআই ছিল। কিন্তু এখন ওই দুই সংখ্যাটা দুই থেকে চার হয়েছে। যোগ হয়েছে নির্বাচন কমিশন ও আধাসামরিক বাহিনী।
বড়ঞার বিজেপি প্রার্থী অমিয় দাসের সমর্থনে এলাকার জালিবাগানে জনসভায় আসেননি নাড্ডা। সেকারণে হতাশ দলের কর্মীরা। জায়ান্ট স্ক্রিনে সভাপতির ভাষণ শোনানো হলেও অনেকে বাড়ির পথে রওনা দেন। মঞ্চে লকেট চট্টোপাধ্যায় বক্তব্য রাখার সময় করোনা বিধি শিকেয় ওঠে। অনেকে মোবাইল নিয়ে মঞ্চের সামনে ভিড় জমান। জানা গিয়েছে, দু’দিন ধরে স্থানীয় বিজেপির পক্ষ থেকে জনসভায় নাড্ডা আসার ব্যাপারে প্রচার চালানো হয়। কিন্তু হেলিকপ্টার থেকে শুধু লকেট নামেন। বিকেল ৩টে নাগাদ সভায় লকেট রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন। শতাধিক কর্মী-সমর্থক মঞ্চ থেকে তিন হাত দূরে মোবাইলে ছবি তুলতে থাকেন। সামাজিক দূরত্বের তো বালাই নেই, অনেকের মুখে মাস্কও ছিল না। যদিও লকেট করোনা বিধি সকলকে মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেলেন। যদিও প্রায় ৩০মিনিট পর সাংবাদিকদের ছবি তোলা দেখে পুলিস উৎসাহী কর্মীদের সরিয়ে দেয়।
এরপর জায়ান্ট স্ক্রিনে নাড্ডা সাহেবের ভাষণ শোনানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেকে চেয়ার ছেড়ে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছেন। নাড্ডাজি দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর জন্য আহ্বান করেন। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এলাকার অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। সেইসময় ভিড় না হলেই ভালো হতো।এই মুহূর্তে