দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

গণনা কেন্দ্রে থাকছে না এসি, লাগাম খাওয়া-দাওয়াতেও

April 26, 2021 | 2 min read

করোনা আবহে এবার গণনা কেন্দ্রে (Vote counting centres) বাড়তি সতর্কমূলক পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলা প্রশাসন (District Administration)। অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে যেমন গণনা কেন্দ্রে ঘরের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, তেমনই মাস্কের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের এজেন্ট সহ অন্যদের ফেস-শিল্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া গণনা কেন্দ্রের ভিতর এসি (AC) না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক ঘরেই এগজস্ট ফ্যান লাগাতে হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্লক স্তরের অফিসারদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

করোনাকালে বিশেষজ্ঞরা বারেবারে বলে এসেছেন এসির মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর একটা প্রবণতা থেকে যায়। একটি গণনা কেন্দ্রের ভিতরে একাধিক ঘর থাকলেও তাতে অনেক লোকজন থাকবে। তাদের মধ্যে উপসর্গহীন কেউ থাকলে, তার শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর একটা আশঙ্কা থেকে যাবে। তাই গণনা কেন্দ্রগুলিতে এই বাতানুকূল যন্ত্র বসাতে রাজি নয় প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রের খবর, কয়েকটি কেন্দ্র থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে এসি বসানোর আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তা নাকচ করে দেওয়া হয়। ঘরের ভিতরের হাওয়া বাইরে বের করার সুবিধার্থে প্রতিটি ঘরে এগজস্ট ফ্যান বসানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এক বিডিও বলেন, গণনার সময় সরকারি অফিসাররা কাছাকাছি বসেন। তাঁদের সঙ্গে আবার থাকবেন রাজনৈতিক দলের কাউন্টিং এজেন্টরাও। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানা প্রায় সম্ভব হবে না। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ফেস-শিল্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে অন্তত কিছুটা সুরক্ষা দেওয়া যাবে।

আরও একটি পদক্ষেপ করতে চাইছে জেলা প্রশাসন। সেটা হল, গণনাকেন্দ্রে ঘরগুলির মধ্যে খাওয়া-দাওয়া কিংবা জল পান করার কোনওরকম ব্যবস্থা না রাখার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কার‌ও প্রয়োজন হলে, তাঁকে ঘর থেকে বেরিয়েই খেতে হবে। কেন এমন চিন্তাভাবনা? অফিসাররা বলেন, ঘরের ভিতরে যতটা সম্ভব মাস্ক যাতে খুলতে না হয়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে একটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কেউ স্বেচ্ছায় মাস্ক কিছুক্ষণের জন্য খুলে রাখলে কী হবে?

দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রতিটি মহকুমায় গণনা কেন্দ্র করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে গণনা টেবিলের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। সেক্ষেত্রে যে সংখ্যক রাউন্ড গুনে ফলাফল ঘোষণা করা হতো, এবার তার থেকে কিছুটা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, যে-হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তা নিয়েও যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন। কারণ ৩১টি কেন্দ্রের গণনা করতে ৩৫০০-৪০০০ সরকারি অফিসারের নাম ঠিক করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১২৫ শতাংশ (২৫ শতাংশ রিজার্ভ) অফিসারকে তৈরি রাখা হয়েছে গণনার জন্য। প্রশাসনের চিন্তা হল, গণনার  এখনও বেশ কিছুদিন বাকি রয়েছে। তার মধ্যে একটা বড় সংখ্যক অফিসার যদি সংক্রমণের শিকার হন, সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#vote counting centre, #Corona, #south 24 parganas

আরো দেখুন