নামেই ১ মে থেকে গণটিকাকরণ, কেন্দ্রকে তোপ কংগ্রেসের
আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যেকোনও নাগরিক করোনার টিকা (Corona Vaccine) পাবেন। বড় মুখ করে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আগামী বুধবার থেকে তার জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশনও শুরু হবে। বেসরকারি হাসপাতালে টিকা পেতে গেলে এবার থেকে আগে অনলাইনে (cowin.gov.in) নাম নথিভুক্ত করতে হবে। যেকোনও দিন, যখন ইচ্ছা গেলেই সেখানে টিকা মিলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কিন্তু তারপরেও প্রশ্ন উঠছে, পর্যাপ্ত ডোজ আছে তো? পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়, রাজস্থানের মতো কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলি তো বটেই, ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও রবিবার এ ব্যাপারে সরব হয়েছেন।
টি এস সিংদেও, রঘু শর্মা, বলবীর সিধু এবং বান্না গুপ্তাদের অভিযোগ, ‘সরাসরি ভ্যাকসিন পেতে প্রস্তুতকারক কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু কোম্পানি জানিয়ে দিয়েছে, আগে কেন্দ্রীয় সরকারকে চুক্তি অনুযায়ী ডোজ দিতে হবে। তাই কমপক্ষে মে মাসের ১৫ তারিখের আগে রাজ্যকে সরাসরি ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব নয়।’
তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভায় দলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনেরও (Derek O’ Brien) প্রশ্ন, ‘এমনিতেই বর্তমান টিকা কর্মসূচিতে রাজ্যগুলিকে পর্যাপ্ত ডোজ পাঠানো হচ্ছে না। ফলে এরপর ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের সময় মতো টিকা দেওয়ার ডোজ আসবে কোথা থেকে?’ তাঁর দাবি, ‘ভোটে বাংলার তরুণ প্রজন্মকে প্রভাবিত করতেই নরেন্দ্র মোদি এই ধাপ্পা দিচ্ছেন।’
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধনের (Harsh Vardhan) অবশ্য বক্তব্য, সংক্রমণের সুনামি সামাল দেওয়া কঠিন বলেই ১ মে থেকে টিকাকরণে রাজ্যগুলিকে ফ্রিহ্যান্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ট্যুইটারে তাঁর মন্তব্য, ভ্যাকসিনের কোনও ঘাটতি নেই। ওদিকে, রাজ্যগুলিকে দেওয়া গাইডলাইনে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, ‘৪৫ ঊর্ধ্ব নাগরিকদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রত্যক্ষ কোভিড যোদ্ধাদেরও।’ ফলে রাজ্য চাইলেও কেন্দ্রের ফ্রি কোটা থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দিতে পারবে না। অতএব ১ মে থেকে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হলেও সময়মতো তা কতটা মিলবে, উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি ভ্যাকসিনের পাঁচরকম দাম (কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন) নিয়েও সরব বিরোধীরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৯১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ২ হাজার ৭৬৭ জন। রাজধানী দিল্লির অবস্থা ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। এখানে প্রতি তিনজনে গড়ে একজন আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড, অক্সিজেনের আকাল। পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।