বারাসত, মধ্যমগ্রাম এবং হাবড়ায় করোনা সেফ হোম
করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় বারাসতসহ জেলার কয়েক জায়গার সেফ হোম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার নেওয়ায় সেসব সেফ হোম ফের চালু করা হচ্ছে। বারাসত শহরে আগের থেকে দ্বিগুণ বেডের সেফ হোম (Safe Home) চালু হচ্ছে আগামী বুধবার। হাবড়া ও মধ্যমগ্রামেও সেফ হোম দ্রুত চালু করার জন্য বৈঠক হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বেড বাড়িয়ে ওইসব সেফ হোম চালু করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বারাসত ও মধ্যমগ্রামে করোনায় মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, নতুন করে সেফ হোম তৈরির জন্য সর্বস্তরে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর করোনা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বারাসত স্টেডিয়ামে ৪০ বেডের সেফ হোম তৈরি করা হয়। নতুন বাথরুম তৈরিসহ পুরো পরিকাঠামো ঢেলে সাজা হয়। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই সংক্রমণ (Covid 19) প্রায় শূন্যে নেমে আসে। কেউই সেফ হোমমুখো হচ্ছিল না। দীর্ঘদিন রোগী না-থাকায় গত বছরের শেষদিকে সেফ হোমটি বন্ধই করে দেওয়া হয়। এখন স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ করছে পূর্ত দপ্তর। কিন্তু সংক্রমণ বারাসতে তীব্র আকার নিয়েছে। রবিবার বারাসত শহরে আক্রান্ত হন ১০৩ জন। সোমবার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৫। এক সপ্তাহে আক্রান্ত ৭৩৫ জন। সোমবার দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। গত এক সপ্তাহে মোট তিনজন মারা গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে স্টেডিয়াম লাগোয়া হর্টিকালচার দপ্তরের নবনির্মিত অফিসে ৮০ বেডের সেফ হোম তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। সেফ হোমটির উদ্বোধন বুধবার।
অন্যদিকে, মধ্যমগ্রাম পুর এলাকার একটি মার্কেট কমপ্লেক্সকে সেফ হোম করা হয়েছিল। কিন্তু রোগী না-হওয়ায় সেটিও বন্ধ করা হয়। করোনার ফের মারাত্মক প্রকোপ মধ্যমগ্রামেও। রবিবার সংক্রামিত হন ৬৭ জন। সংখ্যাটা সোমবার প্রায় দ্বিগুণ! এক সপ্তাহে মোট আক্রান্ত ৫২৬ জন। সোমবার একজনের মৃত্যুও হয়েছে। মৃত একসপ্তাহে তিনজন। এই পরিস্থিতিতে পুরসভা ফের ওই মার্কেট কমপ্লেক্সে সেফ হোম করার বিষয়ে বৈঠক করেছে। সেফ হোমটি খুলতে চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।
হাবড়া শহরের বাণীপুর হোমে ৩০ বেডের সেফ হোম ছিল। কিন্তু অন্য জায়গার মতো সেখানেও রোগী হচ্ছিল না। তাই শেষমেশ বন্ধই করে দেওয়া হয়। ওই সেফ হোমটিও ফের খোলার জন্য সোমবার পুরসভায় প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে। বারাসতের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে। তাই হর্টিকালচার দপ্তরের নবনির্মিত ভাবনে ৮০ বেডের সেফ হোম বুধবার উদ্বোধন করা হবে। মধ্যমগ্রাম পুরসভার প্রশাসক রথীন ঘোষ বলেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ছে উদ্বেজনকভাবে। তাই নতুন করে সেফ হোম খোলার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। হাবড়া পুরসভার প্রশাসক নীলিমেশ দাস বলেন, সোমবার হাবড়ায় সেফ হোম খোলার জন্য প্রশাসনিক বৈঠক করা হয়েছে।