অবশেষে জিতল কেকেআর
ব্যর্থতার কানাগলি থেকে ফের সাফল্যের রাজপথে কলকাতা নাইট রাইডার্স। পর পর চারটি ম্যাচ হারার পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখলেন নাইটরা। সোমবার পাঞ্জাব কিংসকে ৫ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে মনোবল অনেকটাই বাড়িয়ে নিল মরগ্যান ব্রিগেড।
তবে শুরুতেই উইকেট ছুঁড়ে দেওয়ার রোগ এখনও সারেনি। না হলে পাঞ্জাবের ১২৩ রান তাড়া করতে নেমে এমন থরহরিকম্প হবে কেন? শুভমান গিলের সামনে মোতেরায় নায়ক হয়ে ওঠার সুযোগ ছিল। কিন্তু ৯ রানে আউট হয়ে তিনি দলকে বিপদে ঠেলে দেন। খাতাই খুলতে পারেননি নীতীশ রানা। পাঞ্জাবের তরুণ পেসার অর্শদীপের বলে রবি বিষ্ণোই অনবদ্য প্রয়াসে নারিনের (০) ক্যাচ ধরেন। একটা সময় কেকেআরের রান ছিল ৩ উইকেটে ১৭। সেখান থেকে দলে টেনে তোলেন ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগ্যান ও রাহুল ত্রিপাঠি। তাঁরা যোগ করেন ৬৬ রান। যখন কেকেআরের জয় প্রায় নিশ্চিত মনে হচ্ছিল, ঠিক তখনই ত্রিপাঠি ৪১ রানে আউট হয়ে যান। রাসেলের (১০) রান আউটে কিছুটা বিলম্বিত হয় নাইটদের জয়। রানের কাটাতে সফল মরগ্যান। ৪০ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জেতান দীনেশ কার্তিক (অপরাজিত ১২)।
পরের দিকে শিশির পড়বে বলে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং নেয় কেকেআর। তবে শুরুটা দেখে একবারও মনে হয়নি পাঞ্জাব কিংস এত অল্প রান তুলবে। ওপেনিং জুটিতে ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল যোগ করেন ৩৬ রান। পাওয়ার প্লে’তে দ্রুত গতিতে রান তুলতে না পারলেও উইকেট বাঁচিয়ে বড় ইনিংসের ভিত গড়ছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্যাট কামিন্সের বলে হঠাৎ রাহুল ১৯ রানে ধরা পড়েন নারিনের হাতে। একপ্রান্ত সামলে ক্রমশ রানের গতি বাড়ানোর কৌশল নিয়েছিলেন মায়াঙ্ক। কিন্তু এই লড়াইয়ে তিনি পাশে পাননি সতীর্থদের। ক্রিস গেইলকে খালি হাতে ফেরান শিবম মাভি। নিজের প্রথম ওভারেই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা আউট করেন দীপক হুদাকে (১)। মাত্র ছ’রানের ব্যবধানে পাঞ্জাব তিন উইকেট হারায়। ফোকাস নড়ে যায় মায়াঙ্কেরও। সেট হয়েও তিনি ৩১ রানে আউট হন। মিডল অর্ডারে নজর ছিল দুই বিদেশি নিকোলাস পুরান ও মোজেস হেনরিকের উপর। কিন্তু দু’জনেই হতাশ করেন। পুরানের সংগ্রহ ১৯। মাত্র ২ রান করে মাঠ ছাড়েন মোজেস।
প্রতিভাবান শাহরুখ খান (১৩) সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। তবে প্রশংসা করতেই হবে ক্রিস জর্ডনের। ১৮ বলে অনবদ্য ৩০ রান করেন তিনি। কেকেআরের হয়ে প্রসিদ্ধ তিনটি, কামিন্স ও নারিন দু’টি করে উইকেট নেন। আন্দ্রে রাসেল এক ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২ রান দেন। কিন্তু পরে তাঁকে আর বল দেওয়া হয়নি। প্রশংসা করতেই হবে হবে শিবম মাভির। ১টি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন মাত্র ১৩ রান। বোলাররাই মূলত কেকেআরের জয়ের ভিতটা গড়ে দেন।