১ মে আসছে ভারতে আসছে স্পুটনিক ভি
দুঃসময়েও কিছুটা আশার আলো। পয়লা মে রাশিয়ার স্পুটনিক (Sputnik V ) ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচ ভারতে আসছে। অর্থাৎ ভ্যাকসিনের সংখ্যা হবে তিন। একইসঙ্গে জাইডাস ক্যাডিলা এবং বায়োলজিক্যাল-ই সংস্থার আরও দু’টি ভারতীয় ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরুর সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে গত সপ্তাহে। আর ঠিক এরকমই সম্ভাবনার মধ্যেই মুম্বই, পুণে, দিল্লির মতো কিছু অতি সংক্রামিত শহরে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কমতে দেখা যাচ্ছে। সবথেকে উদ্বেগজনক শহর ছিল মুম্বই। সেই মুম্বইয়ের ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা আশার সঞ্চার ঘটিয়েছে। এবার পুণের প্রবণতাও ইতিবাচক। দিল্লিতে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কমছে তবে এক্ষেত্রে উদ্বেগের বিষয় হল পরীক্ষার সংখ্যাও কমেছে।
সিরাম ইনস্টিটিউট আমেরিকার নোভাক্স সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আরও একটি ভ্যাকসিন সেপ্টেম্বর মাসেই নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছে আগেই। সেক্ষেত্রে এই বছরেই ছ’টি ভ্যাকসিন ভারতে নিশ্চিতভাবে কাজ করতে শুরু করবে। অন্যদিকে আমেরিকার ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসন নিয়েও ভারতের বিশেষজ্ঞ কমিটি শীঘ্র সিদ্ধান্ত নেবে। অর্থাৎ সব ঠিক থাকলে ন’টি ভ্যাকসিন (COVID-19 vaccination) চলে আসছে এই বছরে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং নীতি আয়োগ এই প্রবণতাগুলির দিকে একপ্রকার দমবন্ধ করে তাকিয়ে আছে। মাসিক রিপোর্টে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এখনও অর্থনীতির মন্দা আবার ফিরে আসছে, এরকম কোনও আভাস পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকও মনে করছে কর্মসংস্থান, শিল্পবাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে দেশজুড়ে বিশেষ বড়সড় ধাক্কার কোনও খবর এখনও আসেনি। বণিকসভাগুলির সঙ্গে গত সপ্তাহে বৈঠক করার পর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সেরকমই প্রবণতা দেখেছেন। তবে অর্থমন্ত্রক ও নীতি আয়োগ সবথেকে বেশি উদগ্রীব ১ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া ১৮ বছরের বেশি বয়সি নাগরিকদের টিকাকরণের কাজ কতটা সফলভাবে সম্পন্ন করা যায়। কারণ অর্থমন্ত্রক ও নীতি আয়োগ সরকারকে জানিয়েছে, লকডাউন স্থায়ী সমাধান হলে অর্থনীতি ও জীবিকাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। তাই স্থানীয় কার্ফু এবং গণ টিকাকরণের পরিধি বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১৫ কোটি ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। আগামী তিনদিনে আরও ৮০ লক্ষ ডোজ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।