বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে হোক সেফ হোম, দাবি যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীদের
করোনা পরিস্থিতিতে এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তাঁরা মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে চায়। কারণ বিদ্যা অর্জন শুধু অর্থ রোজগারের উপায় হতে পারে না। বরং মানবিকতার দাবি রাখে। তাই দ্বিতীয় পর্বের করোনা সংক্রমণ শুরু পর থেকে করোনা যুদ্ধে মাঠে নেমেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিমধ্যেই একটি অ্যাপ তৈরি করে সকলকে চমকে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই দুই পড়ুয়া। এবার করোনা মোকাবিলায় ক্যাম্পাসের মধ্যেই সেফ হোম (Safe Home) তৈরির দাবি তুলল ছাত্র–ছাত্রীরা।
২০২০ সালে করোনা (Coronavirus) প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে যাদবপুরের পড়ুয়াদের উদ্যেগেই তৈরি হয় ‘যাদবপুর কমিউন’। তখন রাজনৈতিক দূরত্বকে দূরে সরিয়ে রেখে অংশ নেয় কমবেশি প্রায় সমস্ত ছাত্র সংগঠনই। এই কমিউনের পক্ষ থেকেই ক্যাম্পাসের ভিতরে সেফ হোমের দাবি জানিয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এমনকী পড়ুয়াদের এই দাবিকে সাধুবাদও জানিয়েছেন অনেক শিক্ষাবিদেরা।
করোনা পরিস্থিতির জেরে প্রায় ১ বছরের বেশি সময় ধরে পঠনপাঠন বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রশাসনিক বিভাগ খোলা থাকলেও অন্যান্য কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে যাদবপুরেও। পড়ুয়াদের দাবি, কাজে লাগছে না যেসব ক্লাস রুম, অব্যবহৃত ঘর, সেগুলিকে সেফ হোমের জন্য ব্যবহার করুক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরামর্শ করা হোক সরকারের সঙ্গে। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে এসে সেফ হোম পরিচালনা করার দাবিও তোলা হয়েছে।
যাদবপুরের অসংখ্য প্রাক্তনী, যাদবপুর কমিউনের সদস্য–সহ একাধিক অভিজ্ঞ চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের মতামত নিয়ে সেফ হোমের জন্য খসড়া পরিকল্পনাও তৈরি করা হয়েছে। এই কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৫ মে’র মধ্যে যাবতীয় সুবিধা সহ সেফ হোম, আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির উপরেই বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। সেফ হোম তৈরি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মী, অধ্যাপক, গবেষক–সহ সমস্ত সাধারণ পড়ুয়া যাতে এর সুবিধা পায় তাও নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে পড়ুয়ারা।