আইসিএমআরের করোনা তথ্য প্রকাশ্যে আনা হোক, মোদিকে চিঠি ২০০ বিজ্ঞানীর
করোনার বিরুদ্ধে অদম্য লড়াই করছেন দেশের বিজ্ঞানীরা। ভ্যাকসিন তৈরির পর এবার চেষ্টা চলছে আরও সহজে কীভাবে এই ভাইরাসের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হল তথ্যের অভাব। দেশ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই মুহূর্তে কী অবস্থায় আছে, তা বিজ্ঞানীদের কাছে স্পষ্ট নয়। তাই আইসিএমআরের কাছে জমা থাকা তথ্যভাণ্ডারের হদিশ চাইছেন তাঁরা। ICMR -এর তথ্যভাণ্ডারের হদিশ পেতে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখেছেন দেশের প্রথম সারির দুশোর বেশি বিজ্ঞানী।
মোদিকে লেখা চিঠিতে ওই বিজ্ঞানীদের দাবি, এই মহামারীর (COVID-19) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বহু কাজ তাঁরা করেছেন। এবার আরও ব্যাপক ভাবে গবেষণা করতে চান তাঁরা। কিন্তু সেজন্য আরও ব্যাপক হারে তথ্য সংগ্রহ প্রয়োজন। তাঁদের দাবি, করোনার বিরুদ্ধে গবেষণায় বিপুল আকারের তথ্য সংগ্রহ করা জরুরি। শুধু সংগ্রহই নয়, তা কাজের সময়ে ব্যবহারও করতে হবে। এক্ষেত্রে মহামারী সংক্রান্ত বিপুল তথ্য হাতের কাছে মজুত থাকা প্রয়োজন। সেজন্যই এখনও পর্যন্ত আইসিএমআর করোনা নিয়ে যা যা তথ্য সংগ্রহ করেছে, তা Indian scientific community নামক বিজ্ঞানীদের হস্তান্তর করতে অনুরোধ করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার সঙ্গে লড়তে গেলে বিপুল সংখ্যক ভাইরাল জিনোমের সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য প্রয়োজন। সঙ্গে চাই এ দেশের মানুষের শরীরে কোভিড সংক্রমণ এবং এর টিকাকরণের ক্ষেত্রে শরীরের যে স্বাভাবিক রোগপ্রতিরোধী ধর্ম সক্রিয় হয়ে ওঠে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যও।
বিজ্ঞানীদের লেখা এই চিঠি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টে করোনা তথ্য নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে কেন্দ্রকে। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ‘কোনও রকম তথ্যগোপনের অভিযোগ যেন না ওঠে, সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’ এদিকে, শনিবার থেকেই দেশজুড়ে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের জন্য শুরু হচ্ছে টিকাকরণ। কেন্দ্র জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ৪৫ লক্ষ মানুষ টিকার জন্য নাম রেজিস্টার করিয়েছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এদের টিকাকরণ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই দেশের মোট টিকাকরণ ১৫ কোটি ছাড়িয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের।