নন্দীগ্রামে গণনায় কারচুপি, পুনর্গণনার দাবি তৃণমূলের
সকাল থেকেই চলছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে দলবদলু নব্য বিজেপি শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের শহিদের রক্ত-স্নাত মাটিতে কঠোর পরীক্ষা।
বিকেলবেলা খবর এলো ১৭ রাউন্ডের শেষে ১২০০ ভোটার ব্যবধানে জিতে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। বাংলায় তখন তৃণমূলের জয়জয়কার। আগেরবারের ২১১ কে পেছনে ফেলে ২২০ প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে তৃনমুল। তারপরেই দিল্লির এক সাংবাদিক, যিনি বিজেপির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, জানালেন ১৬০০র বেশি ভোট জিতে গেছেন শুভেন্দু অধিকারী। দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ল খবর।
প্রশ্ন উঠছে। কী করে মমতাকে জয়ী ঘোষণার পর শুভেন্দুকে আবার জয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশনের পোর্টাল ঠুঁটো জগন্নাথের মোট দেখিয়ে চলেছে পুরোনো ফলাফল। কমিশনের পক্কে দুপুরের দিকে জানায় হয়েছিল, তাদের সার্ভার খারাপ হয়ে গেছে। তাই এই অসম্পূর্ণ ফলাফল। নাকি কারচুপি। বাংলা হাতছাড়া হয়ে গেছে, তাই মরণকামড়। অন্তত মমতাকে হারানো হোক। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিজেপির কথা শুনে কাজ করার অভিযোগ আগেও এসেছে বহুবার। সুতরাং এবার যে সেটা হয়নি, সেটা হলফ করে বলা যাবে না।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে এখনো গণনা চলছে, সুতরাং সময়ই বলে দেবে কি হতে চলেছে।
ভোটগণনা প্রক্রিয়ায় কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের অফিসে তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। নন্দীগ্রামে পুনর্গণনা সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে কমিশনে দল ।