পারিবারিক বিবাদের ঘটনাকে বাংলায় রাজনৈতিক সন্ত্রাস বলে প্রচার বিজেপির
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় উত্তপ্ত বাংলা। তৃণমূল, বিজেপি দুই দলই একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। মোট ১২ জনের প্রাণহানীর খবর সামনে এসেছে। তাঁর মধ্যে ৫ জন তৃণমূল এবং ৫ জন বিজেপি বলে দাবি করা হচ্ছে। ঘটনা বহুল এই সময়ে বহু ভুয়ো খবরও প্রচার হচ্ছে।
দাবি
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার এক যুবতীর মৃতদেহের ছবি ব্যাপক হারে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা হচ্ছে। বিজেপির (BJP) তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে এই মেয়েটি বিজেপি সমর্থক এবং তাকে গণধর্ষণ করে খুন করেছে তৃণমূল (Trinamool) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
বিজেপি সমর্থক প্রশান্ত প্যাটেল উমরাও মেয়েটির ছবি শেয়ার করেন, যদিও ভারতীয় আইনে কোনও ধর্ষিতার পরিচয় প্রকাশ বেআইনি।
বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁও এ বিষয়ে পোস্ট করেন। লেখেন, হাথরসে রাজনীতির রস ছিল। মেদিনীপুরে নেই। তাই কলকাতার কোনও বুদ্ধিজীবী মোমবাতি হাতে মিছিল করছেন না। তিনিও ধর্ষিতার পরিচয় প্রকাশ করেন।
বিজেপির আরেক জাতীয় নেতা রবি তিওয়ারি দাবি করেন যুবতীকে ছ’জন মিলে ধর্ষণ করেছে।
সত্যতা
বাংলার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনার খবর প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু কেউই ঘটনাটিকে রাজনৈতিক সন্ত্রাস বলে উল্লেখ করেনি। যুবতীকে একটি নির্মীয়মান বাড়িতে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। তার গলায় অন্তর্বাস পেঁচানো ছিল। নির্মীয়মান বাড়িটির পিছনেই মৃতা যুবতীর বাড়ি। ঘটনায় ওই নিৰ্মীয়মান বাড়িতে কর্মরত তিন যুবক এবং এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহিলাটি ওই যুবতীর আত্মীয়।
পুলিশসূত্রে খবর, ওই তিন যুবক ধর্ষণ করেছে এবং অভিযুক্ত মহিলা সাহায্য করেছে। এই ঘটনার সাথে রাজনীতির কোন যোগ নেই। আর ওই যুবতী বিজেপি কর্মী ছিলেন না। সুতরাং তৃণমূলের গুন্ডারা বিজেপি কর্মীকে ধর্ষণ করে খুন করেছে দাবিটি ভুয়ো।